
এটিএন বাংলা, ওয়াসা ভবন, ২য় তলা, ৯৮ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫, বাংলাদেশ
ফোনঃ +88-02-55011931
এ সম্পর্কিত আরও খবর
পুরানঢাকার বংশাল যেন একের পর এক ভয়াবহঘটনার সাক্ষী হয়ে উঠেছে। কয়েকদিন আগেই জবি শিক্ষার্থী জোবায়েদ হত্যায় কেঁপে উঠেছিল গোটা এলাকা আর সে ঘটনার রেশ না কাটতেই সপ্তাহের ব্যবধানে এবারপ্রেমিকার বাসার সিঁড়িতে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে সজীব নামের এক তরুণের মরদেহ। শনিবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলে বংশালের আগামাসি লেনে এ ঘটনা ঘটে, যা মুহূর্তেই এলাকায়চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।
নিহতসজীব বংশালের আগামসি লেনের স্থানীয় বাসিন্দা তাজউদ্দিনের ছেলে। পরিবার ও স্থানীয়দের দাবি, সজীবের সঙ্গে একই এলাকার খাদিজা নামে এক মেয়ের প্রেমেরসম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি ওই সম্পর্কের টানাপোড়েনচলছিল। শনিবার বিকেলে প্রেমিকা খাদিজা ফোন করে সজীবকে বাসায় ডেকে নেয়। এরপর থেকেই তার খোঁজ মেলেনি। বিকেল গড়াতেই পরিবারের উদ্বেগ বাড়তে
পুলিশজানিয়েছে, গলায় জিআই তার প্যাঁচানো অবস্থায় সজীবের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি একটি হত্যাকাণ্ড। তবে ঘটনার সময় ওই বাসাটি তালাবদ্ধঅবস্থায় পাওয়া যায়। স্থানীয়রা জানায়, সেখানে খাদিজা ও তার মাথাকতেন, কিন্তু ঘটনার পর থেকে তারানিখোজ বলে জানা গেছে।
এদিকেপুলিশের দেয়া খবরে অসহায়ের মতো ছুটে আসেন সজীবের মা। ছেলেকে হারিয়ে অঝোর কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। এরপর জানিয়েছেন, বিকেল তিনটায় বাসা থেকে বের হয়েছিল সজীব। তারপর আর ফোন ধরেনি।এরপরই ছেলের নিহত হওয়ার খবরে দিশেহারা হয়ে চাইলেন সুষ্ঠু বিচার।
স্বজনরাজানিয়েছেন, সজীব এসএসসির পর বিদেশ যাওয়ারপ্রস্তুতি নিচ্ছিল। আর ছয় বছরধরে প্রেমিকা খাদিজার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল তার। কিন্তু প্রেমিক সজীবকে নানাভাবে ব্যবহার করে সুবিধা নিতো তার প্রেমিকা। তবে সুবিধা করতে না পারায় তাকেফোন করে ডেকে এনে স্বজনদের দিয়ে এমন হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলে দাবি করেছেন সজীবের পরিবার।
পুলিশজানিয়েছে, বাসার সিসিটিভি ফুটেজ, কল রেকর্ড ওপ্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্ত এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। আর ময়নাতদন্তের জন্যমরদেহ ঢাকা মেডিকেলের মর্গে রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে। /টিএ