logo
youtube logotwitter logofacebook logo
/আন্তর্জাতিক
আবারো যুদ্ধে জড়াচ্ছে ইরান-ইসরায়েল! নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন - image

আবারো যুদ্ধে জড়াচ্ছে ইরান-ইসরায়েল! নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন

12 নভেম্বর 2025, সকাল 11:38

গেল জুনে ১২ দিনের রক্তক্ষয়ী সংঘাতের পর আবারও ভয়ংকর যুদ্ধের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে মধ্যপ্রাচ্য। ইরান ও ইসরায়েল— দুই শত্রু পক্ষ এবার যেন চূড়ান্ত লড়াইয়ের পথে হাঁটছে। মার্কিন দৈনিক দ্য নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, দুই দেশই এখন সর্বাত্মক যুদ্ধের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত, আর এই যুদ্ধ শুরু হওয়া কেবল সময়ের অপেক্ষা।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুনের যুদ্ধ শেষ হলেও ইরান এখনো বিপুল পরিমাণ উচ্চমাত্রায় সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম ধরে রেখেছে— যা দিয়ে ১১টি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি সম্ভব। একই সঙ্গে তারা হাজারো নতুন ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির দৌড়ে নেমেছে। অপরদিকে, ইসরায়েলও পিছিয়ে নেই। দেশটি নতুন হামলার পরিকল্পনা করছে। যুক্তরাষ্ট্রও নীরবে ইসরায়েলকে সহায়তার প্রস্তুতি নিচ্ছে।আন্তর্জাতিক ক্রাইসিস গ্রুপের ইরান প্রকল্প পরিচালক আলি ভায়েজ সতর্ক করে বলেছেন, “তেহরান এখন এমন সক্ষমতা অর্জনের পথে, যেখানে একযোগে দুই হাজার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা সম্ভব হবে— যার লক্ষ্য একটাই, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে অচল করে দেওয়া।” গেল জুনের যুদ্ধে ইরান ছুড়েছিল ৫০০ ক্ষেপণাস্ত্র, এবার সেই সংখ্যাটি চারগুণে পৌঁছাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হওয়ায় ইরান এখন আর কোনো আন্তর্জাতিক নজরদারিকে পাত্তা দিচ্ছে না। তারা গোপনে নতুন ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র নির্মাণ করছে, যেখানে আন্তর্জাতিক পরিদর্শকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। এদিকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি প্রকাশ্যে যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করে বলেছেন, “আমরা শান্তি চাই, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র যদি ইসরায়েলকে রক্ষা করতে থাকে, তবে সহযোগিতা অসম্ভব।”বিশ্লেষকরা বলছেন, জুনের সংঘাতে যে আগুন জ্বলেছিল, তার ছাই এখনো পুরোপুরি নিভে যায়নি। ইরান ও ইসরায়েল— উভয় পক্ষই এখন প্রতিশোধ ও টিকে থাকার যুদ্ধে প্রস্তুত। মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে যুদ্ধের গন্ধ ক্রমেই ঘন হচ্ছে। এবার হয়তো সেই ভয়াবহ যুদ্ধের শুরু, যা পুরো অঞ্চলকে অগ্নিগর্ভ করে তুলতে পারে।/টিএ 

নভেম্বর ১২, ২০২৫

অফিস শেষে নদীতে ভেসে বাড়ি ফেরে যেদেশের মানুষ

জানলে অবাক হবেন, পৃথিবীতে এমন একটি দেশ আছে যেখানে মানুষ অফিস শেষে বাস বা ট্রেন নয়—নদীর স্রোত বেছে নেয় ঘরে ফেরার পথ হিসেবে! দেশটি হলো সুইজারল্যান্ড। আধুনিক শহর, নিখুঁত পরিবেশ আর ব্যস্ত কর্মজীবনের এই দেশটি গ্রীষ্ম এলেই রূপ নেয় এক অনন্য দৃশ্যে। হাজারো মানুষ তখন গাড়ির পরিবর্তে নদীতে ভেসে বাড়ি ফেরে, যা এখন এক জনপ্রিয় জীবনধারায় পরিণত হয়েছে।সুইজারল্যান্ডের কিছু শহর—বিশেষ করে বার্ণ ও ব্যাসেল অঞ্চলের অফিস পাড়াগুলোর পাশ দিয়ে বয়ে গেছে নির্মল নদী আরএ ও রাইন। কাজ শেষে মানুষ সোজা চলে আসে নদীর ধারে। তারা মোবাইল, মানিব্যাগ ও পোশাক রাখে বিশেষ জলরোধী ব্যাগে, তারপর সেই ব্যাগকে ছোট ভাসমান টিউব হিসেবে ব্যবহার করে স্রোতের সঙ্গে ভেসে পড়ে। এই ব্যাগগুলো একদিকে জিনিসপত্রকে নিরাপদ রাখে, অন্যদিকে ভাসতে সহায়তা করে।কেউ কেউ ২০ থেকে ৩০ মিনিট নদীর স্রোতে ভেসে নিজের বাড়ির কাছাকাছি ঘাটে উঠে যায়। এতে একদিকে যাতায়াত খরচ বাঁচে, অন্যদিকে পরিবেশও রক্ষা পায়—কারণ কোনো গাড়ি বা মোটর ব্যবহৃত হয় না, ফলে কার্বন নিঃসরণ প্রায় শূন্যে নেমে আসে। মূলত এই অভ্যাসের পেছনে রয়েছে সুইজারল্যান্ডের গভীর পরিবেশ সচেতনতা। দেশটি বহু বছর ধরেই টেকসই জীবনযাপনে বিশ্বের শীর্ষস্থানে রয়েছে।মানুষের নিরাপত্তা ও সুবিধার কথা ভেবে সরকার নদীর পাড়ে তৈরি করেছে ছোট ছোট পরিবর্তন কক্ষ ও স্নানঘর। সেখানে মানুষ সহজে পোশাক বদলে বাড়ি ফিরতে পারে। পাশাপাশি নদীর জলমান নিয়মিত পরীক্ষা করা হয়, যাতে এটি সাতার বা ভেসে চলার জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই অনন্য যাতায়াত পদ্ধতি শুধু শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্যই নয়, মানসিক প্রশান্তির জন্যও অসাধারণ।/টি

নভেম্বর ১২, ২০২৫

হজ নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত সৌদি সরকারের

হজ ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের একটি, যা প্রত্যেক সামর্থবান মুসলমানের জীবনে অন্তত একবার পালন করা ফরজ। আসন্ন হজ মৌসুমকে সামনে রেখে সৌদি সরকার হজযাত্রীদের জন্য নতুন স্বাস্থ্যবিধি জারি করেছে। এর অধীনে প্রত্যেক হজযাত্রীকে স্বাস্থ্যের ঝুঁকি না থাকার বিষয়ে একটি প্রত্যয়নপত্র জমা দিতে হবে। এজন্য হজযাত্রী পাঠানো সব দেশকে তাদের নাগরিকদের পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন করে সেই প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়। তবে প্রশ্ন হচ্ছে—কোন কোন রোগ থাকলে হজ পালনের অনুমতি দিবেনা সরকার!সৌদি সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, যেসব ব্যক্তি দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত, তাদের হজ পালনের অনুমতি দেওয়া হবে না। মূলত শারীরিকভাবে অক্ষম বা গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকা কোনো ব্যক্তি যেন পবিত্র হজের সময় কোনো সমস্যায় না পড়েন, সে লক্ষ্যেই এই নির্দেশনা। এতে হজযাত্রীদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করাই মূল উদ্দেশ্য।চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, শরীরের প্রধান অঙ্গগুলো অকার্যকর বা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে হজের অনুমতি দেওয়া হবে না। যেমন—ডায়ালাইসিসে থাকা কিডনি রোগী, গুরুতর হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তি, সারাক্ষণ অক্সিজেন প্রয়োজন হয় এমন ফুসফুস রোগী এবং ভয়াবহ লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা হজে যেতে পারবেন না। একইভাবে, গুরুতর মানসিক বা স্নায়বিক ব্যাধি এবং উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভাবস্থার ক্ষেত্রেও হজে অনুমতি মিলবে না।এছাড়া, যক্ষ্মা, ভাইরাল হেমোরেজিক জ্বরের মতো সংক্রামক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি এবং যারা ক্যানসারের কারণে কেমোথেরাপি বা ইমিউনোথেরাপি নিচ্ছেন, তাদেরও হজে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হবে না। এসব রোগের মাধ্যমে অন্য হজযাত্রীদের সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে বলে সৌদি সরকার এমন পদক্ষেপ নিয়েছে।হজযাত্রী পাঠানো প্রতিটি দেশকে ‘নুসুক মাসার’ নামক অনলাইন প্ল্যাটফর্মে স্বাস্থ্য সনদ ইস্যু করতে বলা হয়েছে। এই সনদের মাধ্যমে হজযাত্রীর স্বাস্থ্যঝুঁকি না থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে। সৌদি সরকারের মনিটরিং দল এসব সনদের সত্যতা যাচাই করবে এবং কোনো দেশের হজযাত্রী তালিকায় অনুপযুক্ত ব্যক্তি পাওয়া গেলে সংশোধনমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। /টিএ

নভেম্বর ১১, ২০২৫

দিল্লির লালকেল্লায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে ৮ জন নিহত

ভারতের রাজধানী দিল্লিতে লাল কেল্লার কাছে একটি গাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে  অন্তত ৮ জন নিহত  হয়েছে বলে জানা গেছে। বিস্ফোরণে লাল কেল্লা মেট্রো গেটে আগুন লেগে যায় এবং আগুন ছড়িয়ে পড়ে আরও কয়েকটি গাড়িতে।ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, সন্ধ্যা প্রায় ৭ টার দিকে চান্দনি চক মেট্রো স্টেশনের কাছে এই বিস্ফোরণের পর এলাকাজুড়ে মানুষের ছিন্নভিন্ন দেহ এবং গাড়ির টুকরো ছড়িয়ে ছিটিয়ে যায়।“বিস্ফোরণটি খুবই শক্তিশালী ছিল”, বলে জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ। ঘটনার পরই দিল্লিতে কড়া সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মুম্বাই, জয়পুর, উত্তর প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডেও উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বিস্ফোরণের কারণ নিশ্চিত জানা যায়নি।সূত্র জানিয়েছে,  লাল কেল্লা মেট্রোর এক নম্বর গেটের পার্কিংয়ে দাঁড়িয়ে থাকা এক গাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় দমকলের একাধিক ইঞ্জিন। দমকলকর্মীরা বলেছেন, কিছুক্ষণের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। পুরান দিল্লিতে অবস্থিত লাল কেল্লা শহরের অন্যতম ব্যস্ত পর্যটন এলাকা। সেখানে এই বিস্ফোরণকে কেন্দ্র করে জনমনে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। ঘটনার ছবিতে দেখা গেছে, দরজা উড়ে যাওয়া গাড়ি, টুকরো টুকরো হয়ে যাওয়া গাড়ি, মাটিতে পড়ে থাকা ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া দেহ। এমন দৃশ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পুরো এলাকাজুড়ে।/টি  

নভেম্বর ১১, ২০২৫

জেলে বসেই দাগী আসামীদের মদ পার্টি ও নাচ-গান, অতঃপর…

কেউ কেউ নাচগানে ব্যস্ত আবার কেউবা মদ নিয়ে। আবার কাউকে দেখা যাচ্ছে আয়েসী ভঙ্গিতে ফোনে কথা বলতে বলতে তাস খেলতে। এটা এমন এক যায়গা যেখানে সহযেই মিলছে টিভি. দামি খাবার এমনকি মাদকও। না এটা কোনো বিলাসবহুল রিসোর্ট নয় বা পাড়ার কোনো ক্লাবের পার্টিও নয়। শুনতে আশ্চর্য হলেও সত্য এটি আসলে একটি জেলখানা এবং কয়েদিদের লাগামছাড়া আনন্দের দৃশ্য। আর এমন দৃশ্য কেউ ভিডিও করে নেটদুনিয়ায় ছড়িয়ে দিলে তা দ্রুতই ভাইরাল হয়ে যায়। ঘটনাটি ঘটেছে, ভারতে। সেখানকার এক কেন্দ্রীয় কারাগারে যা ঘটেছে তা সিনেমাকেও হার মানিয়েছে। যেখানে জন নিরাপত্তার খাতিরে কয়েদিদের কড়া পাহাড়ায় রাখার কথা, সেখানে রীতিমত আনন্দ উৎসবে মেতে আছে ভয়ংকর অপরাধে অভিযুক্ত কয়েদিরা। ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে দেখা গেছে, প্লাস্টিকের গ্লাসে মদ ঢালছে বন্দিরা, পাশে সাজানো ফল আর ভাজা চিনাবাদাম। অন্য এক ভিডিওতে সুরের তালে নাচছে কয়েকজন কয়েদি, টেবিলে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে চারটি মদের বোতল।এর আগেও শনিবার আইএসআইএস সদস্য ও এক সিরিয়াল খুনির জেলের ভেতর মোবাইল ফোনে কথা বলা ও টেলিভিশন দেখার দৃশ্য ভাইরাল হয়েছিল। তার পরদিনই বেঙ্গালুরুর এই নতুন পার্টির ভিডিওগুলো প্রকাশ্যে আসে।প্রথম ভিডিওতে দেখা গেছে, আইএসআইএস রিক্রুটার জুহাইব হামিদ শাকিল মান্না জেলের ভেতর ফোনে কথা বলছেন ও চা খাচ্ছেন। অন্য এক ভিডিওতে সিরিয়াল খুনি ও ধর্ষক উমেশ রেড্ডিকে দুটি অ্যান্ড্রয়েড ফোন ও একটি বাটন ফোন ব্যবহার করতে দেখা যায়। এতেই শেষ নয়! সোনা চোরাচালান মামলার বন্দি রাজু নামের এক তরুণকেও দেখা গেছে জেলের ভেতরই রান্না করতে ও ফোনে কথা বলতে।ফাঁস হওয়া এসব ভিডিওতে সমালোচনার ঝড় উঠেছে নেটদুনিয়ায়। প্রশ্ন উঠেছে, জেলের নিরাপত্তা কোথায়? সাধারণ মানুষ থেকে রাজনীতিবিদ, সবাই ক্ষোভ প্রকাশ করছেন কর্ণাটক সরকারের ভূমিকা নিয়ে।ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া বলেছেন, “জেল প্রশাসনের ভেতরকার অনিয়ম কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।এছাড়াও রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি. পরমেশ্বর আরও কঠোরভাবে জানিয়েছেন, “যে কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী এতে জড়িত থাকলে ছাড় দেওয়া হবে না। এ ঘটনায় ইতিমধ্যে কারা বিভাগ তদন্ত শুরু করেছে, এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।

নভেম্বর ১০, ২০২৫

ইসরায়েলকে ২৪ ঘন্টার মধ্যেই উড়িয়ে দিতে সক্ষম ইরান!

মধ্যপ্রাচ্যে আবারও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে ইরান-ইসরায়েলকে ঘিরে। মাত্র ১২ দিনের সংঘাতে ইরান যে সামরিক শক্তি প্রদর্শন করেছে, তা আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের দৃষ্টি কেড়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ইরানের আধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ইসরায়েলের ‘আয়রন ডোম’ প্রতিরক্ষা প্রযুক্তিকে প্রায় অকার্যকর করে দিতে সক্ষম। এমনকি প্রয়োজনে মাত্র ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর ক্ষমতা রাখে ইরান।সাবেক মার্কিন সেনা কর্নেল ডগলাস ম্যাকগ্রেগর সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ভাণ্ডার এতটাই উন্নত যে ইসরায়েলের সামরিক অবকাঠামো অল্প সময়েই ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। তবে তিনি স্পষ্ট করেছেন, ইরান আগ্রাসন নয়, বরং প্রতিরক্ষার লক্ষ্যেই তাদের সামরিক শক্তি গড়ে তুলেছে। ম্যাকগ্রেগরের মতে, “ইরান জানে কীভাবে প্রতিরোধ করতে হয়, কিন্তু তারা যুদ্ধ শুরু করতে চায় না।”গত সংঘাতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলের আয়রন ডোম কার্যত অচল হয়ে পড়েছিল বলে দাবি করেছে তুর্কি বিশ্লেষক ইবরাহিম কালাশ। তার মতে, এই হামলায় ইরান প্রমাণ করেছে যে ইসরায়েলের অজেয় ভাবমূর্তি আর টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়। আক্রমণের সময় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও অন্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের নিরাপত্তার জন্য বাঙ্কারে আশ্রয় নিতে হয়েছিল— যা দেশটির জন্য এক বিব্রতকর মুহূর্ত তৈরি করে।পশ্চিমা নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা সতর্ক করে বলেছেন, ইরানের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রচলিত কোনো প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় ঠেকানো সম্ভব নয়। ন্যাশনাল ইন্টারেস্ট–এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের ফাতাহ সিরিজের ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের যেকোনো সুরক্ষা বলয় ভেদ করে লক্ষ্যবস্তুতে ব্যাপক ক্ষতি করতে পারে। এসব ক্ষেপণাস্ত্রের গতি ও নির্ভুলতা ইরানকে এক ভয়ংকর প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করিয়েছে।ইরানের সাম্প্রতিক সামরিক প্রদর্শনী বিশ্বকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে—এই দেশ প্রয়োজনে শত্রুর মূলভূমিতেও আঘাত হানতে সক্ষম। বিশেষজ্ঞদের মতে, ইরান চাইলে ইসরায়েলের কৌশলগত স্থাপনা—যেমন ডিমোনা পারমাণবিক চুল্লি বা হাইফা বন্দর—উরিয়ে দিতে পারে। ফলে ইরানের এই অগ্রগতি শুধু ইসরায়েল নয়, পুরো পশ্চিমা নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য এক বড় সতর্ক সংকেত হয়ে উঠেছে।/টি

নভেম্বর ০৯, ২০২৫

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি তুরস্কের

গাজায় জাতি হত্যার অভিযোগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও দেশটির শীর্ষ পর্যায়ের কয়েজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে তুরস্ক।গতকাল শুক্রবার তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরের শীর্ষ সরকারি কৌঁসুলির দপ্তর থেকে এই পরোয়ানা জারি করা হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে মার্কিন বার্তাসংস্থা সিএনএন। নেতানিয়াহু ব্যতীত অন্যান্য যেসব কর্মকর্তার নামে পরোয়ানা জারি করা হয়েছে— সেই তালিকায় থাকা উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিরা হলেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ, জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী ইতামার বেন-গিভর এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়া’আল জামির।পরোয়ানায় গাজায় গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং গত সেপ্টেম্বরে আন্তর্জাতিক ত্রাণ বিতরণকারী জোট ফ্লোটিলার ত্রাণের বহরকে আটকে দেওয়াকে অভিযোগ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।শুক্রবার পরোয়ানা জারির কিছুক্ষণের মধ্যে অবশ্য এর নিন্দা জানিয়েছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদন সা’র এক প্রতিক্রিয়ায় এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানাকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের ‘পিআর কৌশল’ বলে উল্লেখ করে বলেছেন, “এরদোয়ান তুরস্কের বিচারব্যবস্থাকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের মুখ বন্ধ রাখতে এবং ভিন্নমতাবলম্বী সাংবাদিক, বিচারক ও মেয়রদের বন্দি করার কাজে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছেন।”এখানে উল্লেখ্য, গাজায় গণহত্যা চালানোর অভিযোগে জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থা ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) যে মামলা দায়ের করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা, গত বছর সেটির বাদিপক্ষে নিজের নাম অন্তর্ভুক্ত করেছে তুরস্ক। ইস্তাম্বুলের শীর্ষ সরকারি প্রকৌশলী এমন এক সময়ে এই পরোয়ানা জারি করলেন, যখন গাজায় একটি ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি চলছে।গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে। শুক্রবার এক বার্তায় গোষ্ঠীটির হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “গাজা ইস্যুতে তুরস্কের জনগণ ও তাদের নেতৃত্বের আদর্শগত অবস্থান এই পরোয়ানা আরও একবার নিশ্চিত করল।”সূত্র : সিএনএনএমআর/

নভেম্বর ০৮, ২০২৫

সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলো জাতিসংঘ

২০২৪ সালের ডিসেম্বরে বিদ্রোহী যোদ্ধারা বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর আহমেদ আল-শারা সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন। আল-কায়েদা বা কিছু সংগঠনের সাথে সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে জাতিসংঘ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।এবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার ওপর থেকে সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। ফলে আগামী সপ্তাহে তার হোয়াইট হাউজ সফরে আর কোনো বাধা থাকছে না।যুক্তরাষ্ট্রের উত্থাপিত একটি প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়ে নিরাপত্তা পরিষদ এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয় বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে।নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মাইক ওয়াল্টজ মন্তব্য করেন, এই ভোট জাতিসংঘের পক্ষ থেকে একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক বার্তা, সিরিয়ায় আসাদের শাসনের অবসান ঘটেছে এবং দেশটি এখন এক নতুন যুগে প্রবেশ করেছে।শারা মূলত জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিলেন। কারণ তিনি ইসলামপন্থী সংগঠন হায়াত তাহরির আল-শামর (এইচটিএস) নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তবে শারা ২০১৬ সালে সংগঠনটির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন এবং যুক্তরাষ্ট্র গত জুলাইয়ে এইচটিএসকে সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকা থেকে বাদ দেয়। একইসঙ্গে নিরাপত্তা পরিষদ সিরিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আনাস খাত্তাবের ওপর থেকেও নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে।এই সিদ্ধান্তের পর আগামী সোমবার আহমেদ আল-শারা হোয়াইট হাউজে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করবেন। ট্রাম্প এর আগে শারাকে ‘দৃঢ়চেতা নেতা’ হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন। ট্রাম্প জানান, তিনি সিরিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছেন। আ/ই 

নভেম্বর ০৭, ২০২৫

পাকিস্তানে বিশাল স্বর্ণখনি আবিষ্কার!

পাকিস্তানে সোনার খনি আবিষ্কারের খবরে সাড়া পড়েছে দেশজুড়ে। খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের হরিপুর জেলার তারবেলা এলাকায় পাওয়া গেছে বিরল ও বিশাল সোনারমজুত, এমনটাই দাবি করেছেন পাকিস্তান ফেডারেশন অব চেম্বারস অবকমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফপিসিসিআই) সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি ও এয়ার করাচির চেয়ারম্যান হানিফ গওহর।সোমবার (৩ নভেম্বর) করাচি প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি জানান, নতুন আবিষ্কৃত খনিটিতে আনুমানিক ৬৩৬ বিলিয়ন ডলার মূল্যের সোনা রয়েছে। তাঁর ভাষায়, “এটি পাকিস্তানের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক সম্পদহতে পারে। যদি সরকার দ্রুত উদ্যোগ নেয়, তাহলে দেশের অর্থনীতি নতুন গতি পাবে।”হানিফ গওহর আরও বলেন, খনন কার্যক্রম শুরুর জন্য ইতোমধ্যে অস্ট্রেলিয়া ও কানাডার দুটি আন্তর্জাতিক ড্রিলিং কোম্পানির সঙ্গে প্রাথমিক যোগাযোগ করা হয়েছে। এখন শুধু প্রধানমন্ত্রীর আনুষ্ঠানিক অনুমতির অপেক্ষা। অনুমোদন মিললেই তারবেলার মাটির নিচ থেকে সোনা উত্তোলনের কাজ শুরু হবে।তবে এখনো পর্যন্ত পাকিস্তান সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে এই আবিষ্কারের সত্যতা নিশ্চিত করেনি। সরকারি পর্যায়ে তথ্য না আসায় বিষয়টি নিয়ে দেশজুড়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। এমি

নভেম্বর ০৬, ২০২৫

মেয়র হয়ে ট্রাম্পের উদ্দেশ্য যে বক্তব্য দিলেন জোহরান মামদানি

হুবহু তুলে ধর হয়েছে-ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বলছি, আমি জানি আপনি দেখছেন। আপনার জন্য আমার পরামর্শ হলো ভলিউম বাড়িয়ে নিন। আমেরিকার ইতিহাসে নিউইয়র্কের প্রথম মেয়র হওয়ার পর এভাবেই উচ্চস্বরে ট্রাম্পকে উদ্দেশ্য করে বক্তব্য দেন জোহরান মামদানি। তিনি বলেন আজ সন্ধ্যায় আমাদের শহরে সূর্য অস্ত গেছে। ইউজিন ডেপস একবার বলেছিলেন মানবতার জন্য এক উজ্জ্বল ভোরের সূচনা দেখতে পাচ্ছি। ধনী ও ক্ষমতাবানেরা নিউইয়র্কের পরিশ্রমী মানুষদের বারবার বলে এসেছে ক্ষমতা তাদের হাতে নয়। বাক্স তুলতে তুলতে যাদের হাতে কড়া পড়ে গেছে ডেলিভারি বাইকের হ্যান্ডেল যাদের তালুকে শক্ত করে ফেলেছে, রান্নাঘরের আগুনে ক্ষতবিক্ষত হয়েছে যাদের আঙ্গুল, এসব হাত কখনো ক্ষমতার নাগাল পায়নি।কিন্তু গত ১২ মাসে আপনারা সাহস করেছেন এক অসম্ভব স্বপ্ন ছোঁয়ার। আজ রাতে সব বাধা পেরিয়ে আমরা সেই স্বপ্নটাকেই ছুঁয়ে ফেলেছি। ভবিষ্যৎ এখন আমাদের হাতে। বন্ধুরা আমার, আজ রাতে আমরা একজন রাজনৈতিক রাজার বংশকে পরাজিত করেছি। আমি এন্ড্রু কিউমোর ব্যক্তিগত জীবনের জন্য শুভকামনা জানাই, কিন্তু তার নাম উচ্চারণের শেষ হবে আজ রাতেই। কারণ আমরা এখন এমন রাজনীতির পাতা উল্টে ফেলে দিচ্ছি, যে রাজনীতি কেবল বাছাই করা কিছু মানুষের জন্যই কাজ করে, অথচ ভুলে যায় অধিকাংশের কথা।আজ রাতে আপনারা পরিবর্তনের পক্ষে রায় দিয়েছেন, ভোট দিয়েছেন নতুন ধরনের রাজনীতির জন্য, এমন শহরের জন্য যেখানে সবাই বাঁচতে পারে। আর এমন সরকারের পক্ষে যারা সত্যিই নিজেদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করবে। আগামী পহেলা জানুয়ারি আমি নিউইয়র্ক সিটির মেয়র হিসেবে শপথ নেব।আমার আব্বা আম্মাকে বলছি, তোমরাই আমাকে আজকের আমি বানিয়েছো। আমি গর্বিত তোমাদের সন্তান হতে পেরে। আমার স্ত্রী রামাকে বলছি, হায়াতি, এই মুহূর্তে এবং জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে আমি তোমাকেই পাশে চাই, আর কাউকে না। অনেকে ভেবেছিল এই দিনটা কোনদিন আসবে না। অনেকেই ভয় পেত প্রতিটি নির্বাচনের পর সুন্দর ভবিষ্যতের স্বপ্ন আরো কমে যাবে, একই রকম হতাশার চক্রে আমরা আটকে থাকব। এমন অনেকেই আছেন যারা মনে করেন রাজনীতির নিষ্ঠুর আঘাতে আশার প্রদীপ চিরতরে নিভে গেছে। কিন্তু আমরা সেই ভয়ের উচিত জবাব দিয়েছি। আমরা স্পষ্ট কন্ঠে বলেছি আশা এখনো বেঁচে আছে। এটা কোন অলৌকিক ব্যাপার নয়, এটা নিউইয়র্কবাসীর প্রতিদিনকার সিদ্ধান্ত, প্রতিদিনের কাজকর্মে। আক্রমণাত্মক প্রচারণা সহ্য করেও তারা আশার পক্ষ নিয়েছে। আমাদের মধ্যে ১০ লাখের বেশি মানুষ আজ গির্জায়, জিম্নেশিয়ামে, কমিউনিটি সেন্টারে দাঁড়িয়ে নিজেদের নাম লিখিয়েছেন গণতন্ত্রের খাতায়। আমরা ভোট একা দিয়েছি ঠিকই, কিন্তু পক্ষ বেছে নিয়েছি একসাথে। স্বৈরাচারের বদলে আশা, টাকার দাপট ও ক্ষুদ্র চিন্তার বদলে পরিবর্তনের প্রত্যাশা, হতাশায় ভেঙে পড়ার বদলে টিকে থাকার আশা আমরা জিতেছি। কারণ নিউইয়র্কবাসী বিশ্বাস করেছে যে অসম্ভবকেও সম্ভব করা যায়। আমরা জিতেছি কারণ আমরা মেনে নিতে রাজি নই রাজনীতি আমাদের উপর চাপিয়ে দেয়া কোন খেলা। এখন আমরা নিজেরা যা করব, সেটাই হবে রাজনীতি। আমার মনে পড়ছে জওহরলাল নেহরুর বিখ্যাত উক্তি: ইতিহাসে খুব কম সময়ই আসে যখন আমরা পুরনো থেকে নতুনে পা রাখি, যখন একটি যুগের অবসান হয় আর জাতির বহুদিনের নীরব আত্মা নতুন কন্ঠ পায়। আজ রাতে আমরাও পুরনোকে পেছনে ফেলে নতুনের পথে পা রেখেছি। যাদের আমরা ভালোবাসি তাদের পাশে দাঁড়ানোই আসল সাহস। আপনি যদি অভিবাষী হন, ট্রান্সজেন্ডার কমিউনিটির সদস্য হন, কৃষ্ণাঙ্গ নারী হওয়ায় ট্রাম্প যদি আপনাকে সরকারি চাকরি থেকে বরখাস্ত করে থাকে, কিংবা আপনি যদি জিনিসপত্রের দাম কমার আশায় থাকা একজন সিঙ্গেল মাদার হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার লড়াই আমাদেরও লড়াই। আমরা এমন এক সিটি হল গড়ে তুলব যা অটলভাবে নিউইয়র্কের ইহুদিদের পাশে দাঁড়াবে, লড়াই করবে ইহুদি বিদ্বেষের বিরুদ্ধে। আর শহরের এক মিলিয়নেরও বেশি মুসলমান জানবে শুধুমাত্র নিউইয়র্কের পাঁচটি বিভাগেই নয়, বরং ক্ষমতার অন্দরমহল পর্যন্ত এখানে তারা আপন। ইসলাম বিদ্বেষকে হাতিয়ার বানিয়ে আর কখনোই কেউ নির্বাচনে জিততে পারবে না।  ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে প্রতারিত জাতি দেখিয়ে দিয়েছে কিভাবে তাকে পরাজিত করা যায়। এই শহরই সেটা দেখিয়েছে যেখান থেকে তিনি উঠে এসেছেন। একজন স্বৈরাচারকে ভয় দেখানোর উপায় হলো তার ক্ষমতার ভিত্তিগুলো ধ্বংস করা। এটি শুধুমাত্র ট্রাম্পকে হারানোর পথ নয়, বরং এভাবেই আমরা পরের জনকেও থামাবো। ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বলছি, আমি জানি আপনি দেখছেন। আপনার জন্য আমার পরামর্শ হলো ভলিউম বাড়িয়ে নিন। আমরা বাড়িওয়ালাদের ভালো করে ধরবো। এই শহরে ডোনাল্ড ট্রাম্পদের মত লোকেরা ভাড়াটিদের শোষণ করে মজা পেয়ে গেছে। বিলিয়নিয়ারদের কর মুক্তি ও কর সুবিধা দেয়া দুর্নীতির আমরা অবসান ঘটাবো। শ্রমিক ইউনিয়নগুলোর পাশে দাঁড়াবো, সংরক্ষণ করব তাদের অধিকার। আমরা জানি, ট্রাম্পও জানেন শ্রমিকের অধিকার অটুট থাকলে তাদের অত্যাচারী বসদের ক্ষমতা কমে যায়। নিউইয়র্ক থাকবে অভিবাষীদের শহর যে শহর গড়ে উঠেছে অভিবাষীদের হাতে, টিকে আছে অভিবাষীদের চেষ্টায় এবং আজ রাত থেকে সেটা পরিচালিতও হবে একজন অভিবাষীর মাধ্যমে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, আমার কথা শুনে রাখুন, আমাদের কাউকে ধরতে হলে আপনাকে আগে আমাদের সবাইকে পার হয়ে যেতে হবে। একসঙ্গে বলুন: আমরা নির্ধারণ করব বাসাভাড়া। আমরা বাস চালাবো দ্রুত এবং সেগুলো হবে বিনামূল্যের। আমরা একসঙ্গে নিশ্চিত করব সার্বজনীন চাইল্ড কেয়ার।

নভেম্বর ০৬, ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রে কার্গো প্লেন বিধ্বস্ত নিহত ৭, আহত ১১

যুক্তরাষ্ট্রে একটি কার্গো প্লেন বিধ্বস্ত হয়ে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে, এবং এই ঘটনায়  আহত হয়েছে আরও ১১ জন। কেন্টাকির গভর্নর জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কেন্টাকির লুইসভিলের একটি বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের সময় ইউপিএস কার্গো প্লেনটি বিধ্বস্ত হয় এমনটিই জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যাম বিবিসি।স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটে লুইসভিল মুহাম্মদ আলী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যাত্রা করার সময় কার্গো প্লেনটি বিধ্বস্তের পর আকাশজুড়ে ঘন কালো ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে। কেন্টাকির গভর্নর অ্যান্ডি বেশেয়ার বলেন, নিহতদের মধ্যে কার্গো প্লেনের তিন ক্রু সদস্য থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, যারা ছবি এবং ভিডিওটি দেখেছেন তারা জানেন যে এই দুর্ঘটনা কতটা ভয়াবহ ছিল।কর্মকর্তারা সতর্ক করে বলেছেন, এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন এবং মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। হাওয়াইয়ের হনোলুলুর উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া ইউপিএস ফ্লাইট ২৯৭৬ কার্গো প্লেনটি ৩৮ হাজার গ্যালন (১৪৪,০০০ লিটার) জ্বালানি বহন করছিল। এটি লুইসভিলে বিমানবন্দরের রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে এবং কাছাকাছি ভবনগুলোতে আঘাত করে। বিস্ফোরণে কাছাকাছি অন্তত দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে একটি পেট্রোলিয়াম পুনর্ব্যবহারযোগ্য কোম্পানিও ছিল। সামাজিক মাধ্যম এক্সে এক প্রতিবেদনে বিমাবন্দরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে মঙ্গলবার সন্ধ্যার সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।লুইসভিলের দমকল বিভাগের প্রধান ব্রায়ান ও’নিল বলেন, ঘটনাস্থলের আগুন প্রায় পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। সেখানে এখনও কর্মীরা মোতায়েন রয়েছেন। আ/ই 

নভেম্বর ০৫, ২০২৫

আমেরিকার ইতিহাসের প্রথম মুসলিম মেয়র, কে এই জোহরান মামদানি?

কথায় আছে, বিধির লিখন যায় না খন্ডন। মাত্র কয়েক মাস আগেই যাকে ভোট দিলে নিউইয়র্ক শহরের সব সুযোগ সুবিধা বন্ধ করে দেবেন এমন ঘোষণা দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার তার হুশিয়ারিকে তুড়িতে উড়িয়ে দিয়ে অবশেষে যুক্তরাষ্ট্রের সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে প্রভাবশালী শহর নিউইয়র্কে নতুন ইতিহাস রচনা করলেন জোহরান মামদানি। এই জয়ে তিনি একাধারে নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম, দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত ব্যক্তি হিসেবে মেয়র নির্বাচিত হলেন। মাত্রকয়েক মাস আগেও যার নাম ছিল তুলনামূলক অজানা, সেই মামদানী এখন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় শহরের নেতৃত্বে। মেয়র হওয়ার এ লড়াইয়ে তিনি হারিয়েছেন দুইপ্রবীণ প্রতিদ্বন্দ্বীকে নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের সাবেক গভর্নর ও স্বতন্ত্র প্রার্থীঅ্যান্ড্রু কুয়োমো এবং রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী কার্টিস লিওয়াকে। এই জয়ে মামদানীশুধু প্রথম মুসলিমই নন, বরং গত ১০০ বছরেরমধ্যে নিউইয়র্কের সর্বকনিষ্ঠ মেয়রও হয়েছেন। মাত্র ৩৪ বছর বয়সে জোহরান মামদানি শুধু নিউইয়র্ক নয়, গোটা আমেরিকার রাজনীতিতে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছেন।মঙ্গলবার রাতেতার ব্রুকলিন প্যারামাউন্ট থিয়েটারে আয়োজিত এক বিজয় অনুষ্ঠানেভাষণ দেওয়ার কথা থাকলেও, সোমবারই তিনি সমর্থকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আপনাদের কারণেই আজ ইতিহাস রচিত হলো। এই জয় আমাদের সবার। ৮৪ লাখেরও বেশি জনসংখ্যার শহরের নেতৃত্ব পাওয়ার মধ্য দিয়ে মামদানি প্রমাণ করেছেন যে প্রগতিশীল রাজনীতি ধর্ম বা জাতিগত সীমা ছাড়িয়ে যেতে পারে।  নিউইয়র্কের ভোটাররা এই নির্বাচনে মামদানিকে শুধু একজন মুসলিম বা অভিবাসী প্রার্থী হিসেবে নয়, বরং বাস্তব জীবনযাত্রার ব্যয়, বাসস্থান ও নাগরিক অধিকারের প্রশ্নে দৃঢ় অবস্থান নেওয়া এক তরুণ নেতার প্রতীক হিসেবে দেখছেন অনেকেই। সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুয়োমো ছিলেন পুরনো ধ্যানধারণার প্রতিনিধি, আর মামদানি প্রতিনিধিত্ব করছেন তরুণ, সমাজতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গির এক নতুন ধারার। এমনকি তার বিজয়ে আনন্দে ফেটে পড়েছে গোটা নিউইয়র্ক শহর। উল্লাস করতে করতে অনেক মানুষই জানিয়েছেন তাকে ভোট দেয়ার কথা, তাকে ঘিরে ভরসা এবং আগামীর উন্নয়নের সুযোগের কথা। এমনকি ভোটাররা জানিয়েছেন, ট্রাম্প আমলের বিভাজিত আমেরিকায় মামদানির মতো তরুণ কণ্ঠই আশার প্রতীক। এদিকে, ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনের ঠিক আগে কুয়োমোকে সমর্থন জানালেও তা উল্টো ফল দিয়েছে বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন।এমনকি ২০০১ সালের ৯/১১ হামলার পর মুসলিমরা যেভাবে বৈষম্যের মুখোমুখি হয়েছিল, আজ সেই প্রেক্ষাপটে মামদানির জয় মুসলিমদের গর্বের নতুন সূচনা বলে মনে করেন সেখানকার মুসলিমরা।   এমি

নভেম্বর ০৫, ২০২৫
footer small logo

যোগাযোগ :

এটিএন বাংলা, ওয়াসা ভবন, ২য় তলা, ৯৮ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫, বাংলাদেশ

ফোনঃ +88-02-55011931

সোশ্যাল মিডিয়া

youtube logotwitter logofacebook logo

Design & Developed by:

developed-company-logo