
এটিএন বাংলা, ওয়াসা ভবন, ২য় তলা, ৯৮ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫, বাংলাদেশ
ফোনঃ +88-02-55011931
এ সম্পর্কিত আরও খবর
দেশেএইডস আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে প্রতিবছরই। কিন্তু এবার সবচেয়ে ভয়াবহ চিত্র দেখা গেছে সিরাজগঞ্জে। অন্যান্য জেলার চেয়ে এ জেলায় উদ্বেগজনক হারে বেড়েই চলেছে এইডস রোগীর সংখ্যা। আর তাতে অনেকেইহাসপাতালে ভীড় জমাচ্ছেন। সম্প্রতি সিরাজগঞ্জে ২৫৫ জনের শরীরে এইচআইভি ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। আর পরীক্ষার পর থেকে এরোগে এপর্যন্ত ২৬ জনের মৃত্যুওহয়েছে। এ নিয়ে শঙ্কিতজেলার চিকিৎসকসহ সুশীল সমাজ। কেন হঠাৎ সেখানে এমন রোগ বাড়ছে?জানাগেছে হাসপাতালে আসা এইডস রোগীদের ৭৩ শতাংশই মাদকসেবী, যারা একই সিরিঞ্জ ব্যবহার করে নেশা করতেন। এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার জন্য একই সিরিঞ্জে মাদক গ্রহণ, রোগের তথ্য গোপন, তরুণদের সচেতনতার অভাব ও অনিয়ন্ত্রিত যৌনজীবনকেদায়ী করছেন চিকিৎসকরা। সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের এইচআইভি
টেস্টিং অ্যান্ড কাউন্সেলিং সেন্টার সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।হাসপাতালসূত্র আরও জানিয়েছে, ২০২০ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি থেকেসিরাজগঞ্জে এইচআইভি পরীক্ষা শুরু হয়। তবে এবারের স্বাস্থ্য পরীক্ষায় ২৫৫ জনের শরীরে এইচআইভি ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। যার ৭৩ শতাংশই মাদকসেবী।এর আগে ২০২০ সালে চারজন, ২০২১ সালে আটজন ও ২০২২ সালেএইডস রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ৮১। পরবর্তী সময়ে ২০২৩ ও ২০২৪ সালেতুলনামূলক স্বাভাবিক পর্যায়ে থাকলেও এবার তা বেড়েছে কয়েকগুণ।জানাগেছে, এবার জেলায় ২৫৫ জনের শরীরে এইচআইভি ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। যার মধ্যে ১৮৭ জন মাদকসেবী, সাধারণ৩৫ জন, স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ২৯ জন এবংচারজন যৌনকর্মী। এরমধ্যে সেন্টারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ২৬ জন। বাকিরানিয়মিত বিনামূল্যে ওষুধ ও চিকিৎসা সেবাপেয়ে অনেকটাই সুস্থ রয়েছেন।এপ্রসঙ্গে, হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আকিকুন নাহার জানিয়েছেন, একই সিরিঞ্জের মাধ্যমে মাদকসেবন করায় রক্তের মাধ্যমে এটা ব্যাপকভাবে শরীরে ছড়িয়ে পড়ছে। ফলে শনাক্তের বেশিরভাগই মাদকসেবী। আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি মনোবল বাড়াতে কাউন্সেলিং করা হচ্ছে। তবে ইনজেকশনে ড্রাগ ব্যবহার কমাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও কঠোর হতে হবে বলে মনে করেন তিনি/টিএ