এটিএন বাংলা, ওয়াসা ভবন, ২য় তলা, ৯৮ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫, বাংলাদেশ
ফোনঃ +88-02-55011931
এ সম্পর্কিত আরও খবর
এইদুনিয়া থেকে আমার মন উঠে গেছেতাই আমি চলে গেছি। আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী আমার দুর্ভাগ্য। আমার মৃত্যুর কোনো কারণ নেই। আমাকে কবর দেয়ার পর চারদিকে সুন্দরকরে বেড়া দিও। যেন কুকুরও ঢুকতে না পারে। বছর বিশেকের এক তরুণী যিনি ভাবতেন এই পৃথিবী তার নয়, তাই তিনি আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছিলেন এমনকি দু পাতার একটি চিঠিও লিখে গেছিলেন যেন তার মরদেহকে অন্তত যত্ন করে কবর দেয়া হয়। কিন্তু তিনি যদি ঘুণাক্ষরেও বুঝতেন যে তার মরদেহের সঙ্গে এতটা অসম্মান আর পাশবিক আচরণ করা হবে, তবেও কি তিনি এমন পথ বেছে নিতেন, নিশ্চয়ই না। দেশে আজ জীবিত নারী কেন নারীর মরদেহওযেন আর নিরাপদে নেই। আর ওই
তরুণী যে ভয়টা করেছিলেন তারচেয়েও জঘন্য এবং পাশবিক ঘটনা ঘটেছে তার মরদেহের সঙ্গে। অপঘাতে মৃত্যুর জন্য তার মরদেহ রাখা হয়েছিল মেডিকেলের মর্গে। আর সেখানেই চরম ঘৃণ্য কাজটিই তার সঙ্গে করা হয়েছে। সেখানে তার মৃত শরীরকেও লালসার বস্তু বানিয়েছে তারই লাশ পরিবহনকারী আবু সাইদ নামের এক যুবক।এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে। সেখানে গত রোববার সেই তরুণীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। শেরপুর সরকারি কলেজের অনার্সের এই শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেন বলে জানিয়েছে পুলিশ ও পরিবারের সদস্যরা। আর তাতে তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ময়মনসিংহ মেডিকেলের মর্গে। আর তার লাশ পরিবহণ করেছিলেন সেই যুবক। আর সেখানকার মর্গে রাখার পর সোমবার দুপুরে আশেপাশে কেউ না থাকার সুযোগে এমন নৃশংস কান্ড করে সে। এই ঘটনা ধরা পড়ে যখন চিকিৎসক পোস্টমর্টেম করতে আসেন। যৌন নির্যাতনের এমন নিকৃষ্ট আলামত পেয়ে চিকিৎসক দেরি না করে বিষয়টি পুলিশকেজানান। পরে পুলিশ সোমবার রাতেই আবু সাঈদকে নিজেদের হেফাজতে নেয়। এরপর ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সে। বেরিয়ে আসে এই নির্মম পাশবিক ঘটনাটি। এ ঘটনায়ময়মনসিংহ মেডিকেলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সংশ্লিষ্টরা। আপসএরইমধ্যে ওই যুবককে গ্রেফতারেরপর আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। সেখানে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীও দিয়েছে অপরাধী। এদিকে মরদেহের সাথে এ ধরনের নিকৃষ্ট অপরাধের ঘটনা জানাজানির পর হতভম্ভ গোটা এলাকার মানুষ।তারা সেই যুবকের দ্রুত শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন। /টিএ