এটিএন বাংলা, ওয়াসা ভবন, ২য় তলা, ৯৮ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫, বাংলাদেশ
ফোনঃ +88-02-55011931
এ সম্পর্কিত আরও খবর
স্বামী বিদেশে আর সেই সুযোগে পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে একান্তে সময় কাটাতেন এক গৃহবধূ। তেমনি একদিন বরাবরের মতো প্রেমিককে কাছে ডেকেছিলেন তিনি। আর দুজন যখনই ঘনিষ্ঠ মুহূর্তে ছিলেন ঠিক তখনই বেরসিক গ্রামবাসীরা ওই বাসায় এনে হানা দেয়। আর এরপর শালিসের নামে হাত পা বেধে ওই নারীকে বেঁধে সবার সামনে লাঠিপেটা করেন এক যুবলীগনেতা। আর শুধু তাই ই নয় পেটানোর পর তাকে পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে জোর করে বিয়েও দিয়েছেন। আর এমন ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক মাধ্যমগুলোতে।ঘটনাটি গত ১৬ অক্টোবর রাতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের গোপালনগরগ্রামে ঘটলেও মঙ্গলবার রাতে ভিডিওটি ভাইরাল হয়। অভিযুক্ত বজলুর রহমান শ্রীপুর ইউনিয়নের যুবলীগের সহসভাপতি। নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ ওই গ্রামের
প্রবাসীরতন মিয়ার স্ত্রী। আর প্রেমিক বিল্লাল মিয়া তারাপুষ্করুণী গ্রামের ৮নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে, ওই গৃহবধুকে লাঠি দিয়ে আঘাত করছেন যুবলীগ নেতা বজলুর রহমান। এসময় ওইনারীর পাশে তার পরকীয়া প্রেমিককে দেখা গেছে। ওই গৃহবধুকে আঘাত করা হলেও এসময় পরকীয়া প্রেমিককেকোনো আঘাত করা হয়নি।স্থানীয়রাজানিয়েছেন, পরকীয়ার অভিযোগে ১৬ অক্টোবর রাতেদুজনকে আটক করেন স্থানীয়রা। পরে মেম্বার বজলুর রহমান উপস্থিত হয়ে ওই নারীকে লাঠিপেটা করেন। পরদিন ১৭ অক্টোবর সকালেসেই ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে সালিশ বৈঠকে বসেন সবাই। আর সালিশের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওই নারীকে পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বিল্লাল বিবাহিত এবং তার চার মেয়ে রয়েছে। এছাড়াও নির্যাতনের শিকার প্রবাসীর স্ত্রী দুই সন্তানের জননী বলে জানা গেছে।এদিকে স্থানীয়রাদুটি সংসার ভাঙ্গনের পেছনে আওয়ামী লীগ নেতা বজলু মিয়াকে দায়ী করে তার বিচার দাবি করেছেন। এ ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি জানিয়েছেন, প্রবাসীর স্ত্রীকে নির্যাতনের একটি ভিডিও তাদের নজরে এসেছে। সতত্য যাচাই করে এই বিষয়ে আইনগতব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।/টিএ