
এটিএন বাংলা, ওয়াসা ভবন, ২য় তলা, ৯৮ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫, বাংলাদেশ
ফোনঃ +88-02-55011931
এ সম্পর্কিত আরও খবর
সুনামগঞ্জের এক প্রত্যন্ত গ্রামের বাসিন্দা জাকারিয়া আহমেদ ইয়াহিয়া। ২০২১ সালে দালালের মাধ্যমে অবৈধভাবে ইতালি যাওয়ার উদ্দেশ্যে দেশ থেকে দুবাই, মিশরসহ আরও একটি দেশ পেরিয়ে লিবিয়ায় পৌঁছান। ২০২৪ সালে গেইমে ভূ-মধ্য সাগর পাড়ি দেওয়ার সময় লিবিয়ার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হন তিনি। সেই নৌকায় ছিলেন প্রায় ১২০ জন অভিবাসন প্রত্যাশী। পরে স্থানীয় মাফিয়া চক্র আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছ থেকে তাদের কিনে নেয়। পরিবারের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের মুক্তিপণ আদায়ের পর অবশেষে ছাড়া পান জাকারিয়া।
ছেলেকে মাফিয়া চক্রের হাত থেকে ছাড়িয়ে আনতে জায়গা-জমি বিক্রি ও ঋণ নিয়ে প্রায় ১৫ লাখ টাকা খরচ করতে হয়েছে পরিবারের। দেশে ফেরার দেড় বছর পরও সেই ঋণ এখনো পরিশোধ
শুধু জাকারিয়া নন, তার মতো আরও অনেক তরুণ উন্নত জীবনের আশায় ঝুঁকছেন অনিয়মিত অভিবাসনের দিকে। প্রতারণার শিকার হয়ে নিঃস্ব হচ্ছেন তারা, বিপর্যস্ত হচ্ছে পুরো পরিবার।
ইউরোপ ফেরত অভিবাসীদের নিয়ে কাজ করছে ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের ‘প্রত্যাশা-২’ প্রকল্প। তাদের তথ্য অনুযায়ী, গেল দুই বছরে লিবিয়া থেকে দেশে ফিরেছেন সুনামগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলার অন্তত ২৬৫ জন তরুণ। তারা সবাই দালালের মাধ্যমে অবৈধ পথে ইউরোপের দেশ ইতালিতে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু স্বপ্নের ইউরোপযাত্রা শেষ হয়েছে দুঃস্বপ্নে। লিবিয়ায় অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন অনেকেই। এসব বিপন্ন তরুণকে আর্থিক ও মানসিক সহায়তা দিয়ে সমাজে ফিরিয়ে আনার কাজ করছে ব্র্যাক।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, দালালদের চিহ্নিত করে আইনি পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্টদের এগিয়ে আসতে হবে। অবৈধ অভিবাসন রোধে মসজিদের ইমাম, শিক্ষকসহ বিভিন্ন সামাজিক স্তরে সচেতনতা কার্যক্রম চলছে জানালেন জেলা প্রশাসক।
অনিরাপদভাবে ইউরোপে যাওয়ার তালিকায় শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় অবস্থানে সিরিয়া। এরপর রয়েছে তুনিশিয়া, মিশর, গিনি, পাকিস্তানসহ আরও কয়েকটি দেশ।
/টি