এটিএন বাংলা, ওয়াসা ভবন, ২য় তলা, ৯৮ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫, বাংলাদেশ
ফোনঃ +88-02-55011931
Design & Developed by:
এ সম্পর্কিত আরও খবর
বাংলাদেশের অন্যতম বড় রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হয়নি, বরং তাদের কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে। আর এই স্থগিতাদেশ যেকোনো সময় তুলে নেওয়া হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সম্প্রতি, এক সাক্ষাতকারে আওয়ামী লীগের এমন প্রসঙ্গ উঠে আসে। আর এটি দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায় সামাজিক মাধ্যমে। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে জিটিওকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাংবাদিক মেহদি হাসানের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এখনো একটি বৈধ রাজনৈতিক দল। শুধু কার্যক্রম চালানোর ক্ষেত্রে সাময়িক বিরতি টানা হয়েছে। তাঁর ভাষায়, তারা একটি দল হিসেবে বৈধ, কিন্তু কিছু সময়ের জন্য তাদের কার্যক্রম স্থগিত আছে। যেকোনো সময় আবার
তা সচল হতে পারে। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে প্রধান উপদেষ্টা দায়িত্বটা নির্বাচন কমিশনের ওপর চাপিয়ে দেন। তিনি বলেন, কমিশনই নির্ধারণ করবে কোন দল ভোটে অংশ নিতে পারবে। আর সমর্থক প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে ইউনূস বলেন, আওয়ামী লীগের লাখ লাখ সমর্থক আছে, এটা আমি মানি না। তবে তাদের সমর্থক আছে। তারা অন্য সাধারণ ভোটারের মতোই ভোট দিতে পারবে, তবে সেখানে শুধু আওয়ামী লীগের প্রতীক থাকবে না। তবে কেবল তাদের কার্যক্রম নিয়েই নয়, আওয়ামী লীগের অতীত কর্মকাণ্ডেরও কড়া সমালোচনা করেছেন ড.ইউনূস। তাঁর অভিযোগ, দলটি কখনো প্রকৃত রাজনৈতিক সংগঠনের মতো আচরণ করতে পারেনি। বরং তারা সহিংসতায় জড়িয়েছে, মানুষের জীবন কেড়ে নিয়েছে, অথচ কোনোদিন দায় স্বীকার করেনি। সব সময় অন্যকে দায়ী করার প্রবণতাই তাদের ভর করেছে। গত ২৯ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত এই সাক্ষাৎকারে আরও আলোচনায় উঠে এসেছে জাতীয় নির্বাচন বিলম্বের যৌক্তিকতা, রোহিঙ্গা সংকট ও বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি। রাজনৈতিক অঙ্গনে এখন প্রশ্ন একটাই, আওয়ামী লীগের স্থগিত কার্যক্রম কী তবে আবারও সচল হবে? প্রধান উপদেষ্টার ইঙ্গিত যেন সেই সম্ভাবনার দরজাটা খোলা রেখেছে বলেই মনে করছেন অনেকেই। এমি/এটিএন বাংলা