এটিএন বাংলা, ওয়াসা ভবন, ২য় তলা, ৯৮ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫, বাংলাদেশ
ফোনঃ +88-02-55011931
Design & Developed by:
এ সম্পর্কিত আরও খবর
সবুজ একটি ফসলি জমির ওপর দেখা গেছে একটি চোঙাকৃতির মেঘ যা ভীষণ দ্রুতগতিতে ঘুরে ঘুরে এগোচ্ছে। এটি কোনো সাধারণ ঝড় নয় এটি একটি বিশেষ ধরণের ঘূর্ণিঝড় যা টর্নেডো নামে পরিচিত। এমন দৃশ্য বাংলাদেশে সচরাচর দেখা যায়না। কিন্তু এ বিরল দৃশ্যই এবার দেখা গেছে বাংলাদেশে যা ধারণ করেছেন কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী। আর তা এখন ভাইরাল সামাজিক মাধ্যমে। জানা গেছে এ টর্নেডো আঘাত হেনেছে টাঙ্গাইলের ঘাটাইলের জামুরিয়ার এক ফসলি জমিতে। ধারণা করা হচ্ছে এতে ক্ষয়ক্ষতি বাড়তে পারে। যদিও এখনো তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। আর এ ভিডিওর সত্যতা বা বিস্তারিত কোনো তথ্য এখনো যাচাই করা সম্ভব হয়নি। তবে এ ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়লে
অনেকেরই প্রশ্ন জাগে যে টর্নেডো আসলে কী? আর এতে ক্ষয়ক্ষতিই বা কেমন হয়? টর্নেডো হল একপ্রকার ঘূর্ণিঝড় যা ফানেল-আকৃতি বা চোঙাকৃতির হয়ে থাকে। সাধারণত শক্তিশালী বজ্রঝড় থেকে এটি সৃষ্টি হয়ে থাকে। যদি বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ মাইলের হয় তবে এ ঘূর্ণনস্তম্ভকে টর্নেডো হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। দ্রুত গতির একটি টর্নেডো বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০-৪৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। ফানেল-আকৃতির ঝড়টি বেশ বিধ্বংসী হতে পারে। আর কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে এটি আশেপাশের বড়বড় গাছ, বাড়িঘর ধ্বংস করতে পারে। আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে সাধারণত টর্নেডো হয়ে থাকে। আর এটা এতটা আকসিম্ক হয় অনেক সময় এর পূর্বাভাস দেয়া সম্ভব হয়ে ওঠেনা। উন্নত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জলবায়ুর কারণে বিধ্বংসী টর্নেডো বা স্থল ঘূর্ণিঝড় দেখা দেয়। তবে টর্নেডো যেখান দিয়ে যায় সেখানেই শুধু ক্ষয়ক্ষতি হয়। এর আশে পাশে কিছু হয়না। তবে বড় আকারের টর্নেডো হলে ক্ষয়ক্ষতি বাড়তে পারে। বাংলাদেশে এটি তেমন দেখা না গেলেও এটা একবারে বিরলও নয়। ১৯৮৯, ১৯৯৬ ও ২০১৩ সালে এটি ব্যাপকভাবে আঘাত হেনেছিল দেশে। যদিও দেশে কালবৈশাখী বা নরওয়েস্টার ঝড় দেখা দিলেও টর্নেডো সচরাচর ঘটেনা। তবে জলবায়ুর তারতম্যে এবার বাংলাদেশেও আঘাত হানছে এই প্রাকৃতিক দুর্যোগটি। ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিওতে টর্নেডোটি ফসলি জমিতে আঘাত হানায় প্রাণহানি বা খুব বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে মনে করছেন নেটিজেনরা। এমি/এটিএন বাংলা