
এটিএন বাংলা, ওয়াসা ভবন, ২য় তলা, ৯৮ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫, বাংলাদেশ
ফোনঃ +88-02-55011931
এ সম্পর্কিত আরও খবর
বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা সালমান খান শুধু ভারতের নয়, গোটা দক্ষিণ এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের দর্শকের কাছে এক অবিস্মরণীয় নাম। তার অভিনয়, ব্যক্তিত্ব ও পর্দায় ক্যারিশমা তাঁকে লাখো ভক্তের প্রিয় করে তুলেছে। ‘বজরঙ্গি ভাইজান’, ‘সুলতান’, ‘টাইগার জিন্দা হ্যায়’-এর মতো সুপারহিট ছবির মাধ্যমে তিনি বলিউডের সবচেয়ে প্রভাবশালী তারকাদের একজন হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। শুধু সিনেমা নয়, সমাজসেবামূলক কাজের জন্যও সালমান খান ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছেন।
তবে সম্প্রতি এই জনপ্রিয় অভিনেতা একটি মন্তব্যের জেরে তুমুল বিতর্কের মুখে পড়েছেন। পাকিস্তান ও বেলুচিস্তানকে পৃথক দেশ হিসেবে উল্লেখ করায় পাকিস্তানের রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। এই মন্তব্যকে ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়াতেও শুরু হয় তীব্র আলোচনা ও সমালোচনা।
ভারতীয় গণমাধ্যম মিড
এই বিতর্কের সূত্রপাত হয় সৌদি আরবের রিয়াদে অনুষ্ঠিত ‘জয় ফোরাম ২০২৫’-এর এক আলোচনায়। অনুষ্ঠানে একসঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বলিউডের তিন কিংবদন্তি অভিনেতা—সালমান খান, শাহরুখ খান ও আমির খান। সেখানে তাঁরা মধ্যপ্রাচ্যে ভারতীয় সিনেমার ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা নিয়ে কথা বলছিলেন।
সেই আলোচনায় সালমান খান বলেন, “এখন যদি এখানে কোনো হিন্দি সিনেমা মুক্তি দেওয়া হয়, সেটা সুপারহিট হবে। তামিল, তেলুগু বা মালয়ালম সিনেমাও শত কোটি রুপির ব্যবসা করতে পারবে, কারণ এখানে অনেক দেশের মানুষ কাজ করছে। এখানে বেলুচিস্তান থেকে এসেছে, আফগানিস্তান থেকে এসেছে, পাকিস্তান থেকেও এসেছে— সবাই এখানে কাজ করছে।” তাঁর এই মন্তব্যে বেলুচিস্তান ও পাকিস্তানকে আলাদা দেশ হিসেবে উপস্থাপন করার ইঙ্গিত পাওয়া যায়।
পাকিস্তান সরকারের একাংশ সালমানের এই বক্তব্যকে ‘রাষ্ট্রবিরোধী’ ও ‘সংবেদনশীল বিষয়ে হস্তক্ষেপ’ বলে দাবি করেছে। তাদের মতে, বেলুচিস্তান পাকিস্তানের অবিচ্ছেদ্য অংশ, ফলে সালমানের মন্তব্য জাতীয় সার্বভৌমত্বের পরিপন্থী। যদিও ভারতীয় মহলে অনেকেই মনে করেন, সালমানের উদ্দেশ্য ছিল ভৌগোলিক বা রাজনৈতিক মন্তব্য নয়, বরং বিভিন্ন দেশের মানুষের উপস্থিতি বোঝাতে তিনি এই উদাহরণ ব্যবহার করেছিলেন। তবে বিতর্কের আগুন ছড়িয়ে পড়ায় ঘটনাটি এখন দুই দেশের আলোচ্য বিষয়ে পরিণত হয়েছে।
/টিএ