এটিএন বাংলা, ওয়াসা ভবন, ২য় তলা, ৯৮ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫, বাংলাদেশ
ফোনঃ +88-02-55011931
Design & Developed by:
এ সম্পর্কিত আরও খবর
নিজেদের পরমাণু শক্তিধর দেশ হিসেবে ঘোষণা দেয়ার পর থেকেই পাকিস্তানকে নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তায় রয়েছে ভারতও তার মিত্রদেশগুলো। সম্প্রতি সৌদি আরবের সঙ্গে ইসলামাবাদের প্রতিরক্ষা চুক্তিকে সাধারণ চোখে হয়তো কেবল সামরিক সহযোগিতার অংশ বলে মনে হতে পারে। তবে এ ঘটনায় নতুন করে আলোচনায় এসেছে পাকিস্তানের পারমাণবিক কর্মসূচি। প্রশ্ন, আদৌ কি সৌদির কাছে এবার পারমাণবিক অস্ত্র দিচ্ছে পাকিস্তান? এ বিষয়ে স্পষ্ট মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ। তিনি জানিয়েছেন, চুক্তির আওতায় কোনোভাবেই পারমাণবিক অস্ত্র হস্তান্তর করা হচ্ছে না। তার ভাষায়, আমরা একটি দায়িত্বশীল জাতি। গত ১৭ সেপ্টেম্বর রিয়াদে সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের উপস্থিতিতে স্বাক্ষরিত হয় ঐতিহাসিক প্রতিরক্ষা
চুক্তি। এতে বলা হয়েছে, যে কোনো এক দেশের ওপর হামলা হলে সেটিকে উভয় দেশের বিরুদ্ধে আক্রমণ হিসেবে গণ্য করা হবে। ইসরায়েলের কাতার হামলার এক সপ্তাহ পর চুক্তিটি হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই নানা জল্পনা তৈরি হয়। অনেকে ধারণা করেন, পাকিস্তানের পারমাণবিক সক্ষমতা হয়তো সৌদির প্রতিরক্ষায় ব্যবহার হবে।এক সাক্ষাৎকারে খাজা আসিফ এই প্রশ্নের মুখোমুখি হলে তিনি সরাসরি কোনো উত্তর না দিয়ে বলেন, সৌদির সঙ্গে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা সম্পর্ক নতুন নয়। কয়েক দশক ধরে দেশটিতে পাকিস্তানি সেনা মোতায়েন রয়েছে, এখনো সামরিক উপস্থিতি অব্যাহত আছে।আসিফ স্বীকার করেন, প্রতিরক্ষা চুক্তির সব বিষয় প্রকাশ্যে বলা হয় না। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, এতে পরমাণু অস্ত্রের কোনো লেনদেন নেই। বিশ্লেষকদের মতে, পাকিস্তানের পরমাণু কর্মসূচি সবসময় আন্তর্জাতিক উদ্বেগের কেন্দ্রবিন্দুতে থেকেছে। অন্যদিকে সৌদি আরবের দীর্ঘদিনের ইচ্ছা, নিজেদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় পরমাণুর সুরক্ষা যুক্ত করা। ফলে নতুন এই চুক্তি ঘিরে গুঞ্জন থামছেই না। তাহলে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে, সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা সহযোগিতা কতটা স্বাভাবিক সামরিক সম্পর্কের অংশ, আর কতটা লুকানো কৌশলগত সমীকরণ? সময়ই হয়তো তার উত্তর দেবে। এমি/এটিএন বাংলা