এটিএন বাংলা, ওয়াসা ভবন, ২য় তলা, ৯৮ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫, বাংলাদেশ
ফোনঃ +88-02-55011931
Design & Developed by:
এ সম্পর্কিত আরও খবর
এক বোর্ডিং স্কুলের শতশত শিক্ষার্থী আসরের নামাজে দাড়িয়েছে। নামাজ আদায়ের সময় শিক্ষার্থীরা যখন প্রার্থনা কক্ষে, তখনই শতবর্ষী ভবনটির উপরের তলা প্রচণ্ড শব্দে ভেঙে পড়ে। আর মুহূর্তেই রক্ত, ধুলো আর কান্নার ভেতর ডুবে যায় গোটা স্কুল ভবন। এখন পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে আর আহতের সংখ্যা প্রায় শতাধিক। তাদের অনেকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এমনকি দুর্ঘটনার দুই দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো অনেক শিক্ষার্থী কংক্রিটের নিচে আটকা রয়েছেন। সোমবার ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব জাভার সিদোয়ারজোতে আল খোজিনি ইসলামিক বোর্ডিং স্কুল ধসের ঘটনায় দেশটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তবে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার দুই দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো অন্তত ৯১ শিক্ষার্থী কংক্রিটের নিচে আটকে রয়েছেন বলে জানা
গেছে। এ দুর্ঘটনায় উদ্ধারকাজ চলছে দিন-রাত এক করে। প্রায় ৩০০ জন উদ্ধারকর্মী ধ্বংসস্তূপের ভেতরে আটকে থাকা শিক্ষার্থীদের জীবিত উদ্ধারে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন। তবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো, ভবনের দেয়াল ও স্ল্যাব, যা যেকোনো মুহূর্তে আবারও ধসে পড়তে পারে। তাই ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উদ্ধারকর্মীরা আশা করছেন, এখনো অন্তত কয়েকজন শিক্ষার্থী জীবিত রয়েছেন। কিন্তু সময় যত বাড়ছে, ততই নিখোঁজদের পরিবারে উদ্বেগ আর হতাশা বাড়ছে। তবে পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে মঙ্গলবার রাতের ভূমিকম্প। ৬ মাত্রার কম্পনে কেঁপে ওঠে এলাকা, বাধ্য হয়ে উদ্ধার অভিযান সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়। তবে স্কুল ভবন ভেঙে পড়ার ঘটনার তদন্তে উঠে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গেছে, স্কুল ভবনটির মূল নকশা ছিল মাত্র দুই তলার জন্য। অথচ অনুমতি ছাড়াই সম্প্রতি এর উপরে আরও দুই তলা নির্মাণ কাজ চলছিল। অতিরিক্ত চাপ সহ্য করতে না পেরে কংক্রিটের বিশাল অংশ ধসে পড়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ভাঙা ইট-পাথরের নিচে এখনো শোনা যাচ্ছে শিক্ষার্থীদের ক্ষীণ করুণ আর্তনাদ, আর বাইরে অপেক্ষা করছে শত শত অশ্রুভেজা চোখ। দুই দিন পেরিয়ে গেলেও নিখোঁজ শিক্ষার্থীদের খোঁজ মেলেনি। বাঁচার আশায় পরিজনরা দাঁড়িয়ে আছে স্কুলের ধ্বংসস্তূপের সামনে, কেউ কোরআন তিলাওয়াত করছে, কেউ আবার স্রষ্টার দরবারে চোখের জল ফেলে প্রার্থনা করছে। প্রতিটি সেকেন্ড যেন হয়ে উঠছে নিখোঁজ সন্তানদের জন্য জীবন–মৃত্যুর এক অলিখিত হিসেব। এমি/এটিএন বাংলা