
এটিএন বাংলা, ওয়াসা ভবন, ২য় তলা, ৯৮ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫, বাংলাদেশ
ফোনঃ +88-02-55011931
এ সম্পর্কিত আরও খবর
জানলে অবাক হবেন, পৃথিবীতে এমন একটি দেশ আছে যেখানে মানুষ অফিস শেষে বাস বা ট্রেন নয়—নদীর স্রোত বেছে নেয় ঘরে ফেরার পথ হিসেবে! দেশটি হলো সুইজারল্যান্ড। আধুনিক শহর, নিখুঁত পরিবেশ আর ব্যস্ত কর্মজীবনের এই দেশটি গ্রীষ্ম এলেই রূপ নেয় এক অনন্য দৃশ্যে। হাজারো মানুষ তখন গাড়ির পরিবর্তে নদীতে ভেসে বাড়ি ফেরে, যা এখন এক জনপ্রিয় জীবনধারায় পরিণত হয়েছে।
সুইজারল্যান্ডের কিছু শহর—বিশেষ করে বার্ণ ও ব্যাসেল অঞ্চলের অফিস পাড়াগুলোর পাশ দিয়ে বয়ে গেছে নির্মল নদী আরএ ও রাইন। কাজ শেষে মানুষ সোজা চলে আসে নদীর ধারে। তারা মোবাইল, মানিব্যাগ ও পোশাক রাখে বিশেষ জলরোধী ব্যাগে, তারপর সেই ব্যাগকে ছোট ভাসমান টিউব হিসেবে
কেউ কেউ ২০ থেকে ৩০ মিনিট নদীর স্রোতে ভেসে নিজের বাড়ির কাছাকাছি ঘাটে উঠে যায়। এতে একদিকে যাতায়াত খরচ বাঁচে, অন্যদিকে পরিবেশও রক্ষা পায়—কারণ কোনো গাড়ি বা মোটর ব্যবহৃত হয় না, ফলে কার্বন নিঃসরণ প্রায় শূন্যে নেমে আসে। মূলত এই অভ্যাসের পেছনে রয়েছে সুইজারল্যান্ডের গভীর পরিবেশ সচেতনতা। দেশটি বহু বছর ধরেই টেকসই জীবনযাপনে বিশ্বের শীর্ষস্থানে রয়েছে।
মানুষের নিরাপত্তা ও সুবিধার কথা ভেবে সরকার নদীর পাড়ে তৈরি করেছে ছোট ছোট পরিবর্তন কক্ষ ও স্নানঘর। সেখানে মানুষ সহজে পোশাক বদলে বাড়ি ফিরতে পারে। পাশাপাশি নদীর জলমান নিয়মিত পরীক্ষা করা হয়, যাতে এটি সাতার বা ভেসে চলার জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই অনন্য যাতায়াত পদ্ধতি শুধু শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্যই নয়, মানসিক প্রশান্তির জন্যও অসাধারণ।
/টি