এটিএন বাংলা, ওয়াসা ভবন, ২য় তলা, ৯৮ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫, বাংলাদেশ
ফোনঃ +88-02-55011931
Design & Developed by:
এ সম্পর্কিত আরও খবর
পামানবিক শক্তিধর দেশ উত্তর কোরিয়া। এবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ঘুম হারাম করে, প্রকাশ্যে উন্মোচন করল নিজেদের সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। যার নাম দেয়া হয়েছে ‘হোয়াসং-২০’ । বলা হচ্ছে এই ক্ষেপনাস্ত্রটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ড পর্যন্তও আঘাত হানতে সক্ষম । শুক্রবার জাপান টাইমসের এক প্রতিবেদন বলা হয়েছে, নতুন এই ক্ষেপণাস্ত্রটির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো, এটি কঠিন জ্বালানি ব্যবহার করে। এই প্রযুক্তি উত্তর কোরিয়াকে একটি কৌশলগত সুবিধা এনে দিবে, কারণ কঠিন জ্বালানিভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলো অনেক দ্রুত প্রস্তুত করে উৎক্ষেপণ করা যায়। যার ফলে শত্রুপক্ষের যেকোনো ঘাটিঁ নিমিষেই ধ্বংস করা সম্ভব। এছাড়া ক্ষেপনাস্ত্র হোয়াসং-২০ সহজে স্থানান্তরযোগ্য, অর্থাৎ এটি মোবাইল লঞ্চার থেকে উৎক্ষেপণ করা যায়। ফলে
স্যাটেলাইট বা গোয়েন্দা প্রযুক্তি দিয়ে এর অবস্থান শনাক্ত করা অনেক চ্যালেঞ্জিং হয়ে পড়ে। এতে করে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক স্ট্রাইক ক্যাপাবিলিটি আগের চেয়ে অনেক বেশি অনিশ্চয়তা এবং ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে আন্তর্জাতিক প্রতিপক্ষদের জন্য। এদিন সামরিক কুচকাওয়াজে উপস্থিত ছিলেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন। তিনি বলেন, “জাতীয় নিরাপত্তা এবং সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করতে সামরিক শক্তি ছাড়া অন্য কোনো পথ নেই।” যদিও তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নাম সরাসরি উল্লেখ করেননি, তবুও তার বক্তব্যের ইঙ্গিত ছিল স্পষ্ট—বিদেশি হুমকি এবং আধিপত্যের বিরুদ্ধে উত্তর কোরিয়া সর্বদা প্রস্তুত। বিশ্লেষকদের মতে, এই ধরনের অস্ত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে উত্তর কোরিয়া শুধুমাত্র নিজেদের শক্তি জানান দিচ্ছে না, বরং সম্ভাব্য কূটনৈতিক আলোচনায় চাপ তৈরির কৌশল হিসেবেও এটি ব্যবহার করছে দেশটি । টিএ