
এটিএন বাংলা, ওয়াসা ভবন, ২য় তলা, ৯৮ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫, বাংলাদেশ
ফোনঃ +88-02-55011931
এ সম্পর্কিত আরও খবর
ইরানে নারীদের হিজাব বাধ্যতামূলক। আইন অনুযায়ী, প্রকাশ্যে কোনো নারীকে খোলা চুল বা খোলামেলা পোশাকে দেখা গেলে কঠোর শাস্তির মুখে পড়তে হয়। অথচ দেশটির ক্ষমতাধর শাসক শ্রেণির পরিবারগুলো যেন এই আইন তোয়াক্কাই করছে না। সম্প্রতি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা আলি শামখানির মেয়ের খোলামেলা পোশাকে বিয়ের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে । এরপরই খামেনির রক্ষণশীল শাসন ব্যবস্থা নিয়ে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক ।ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল জানায়, পশ্চিমা ধাঁচের পোশাক ও আয়োজনের সেই বিয়ের ভিডিও ১৭ অক্টোবর সামাজিক মাধ্যম এক্সে ফাঁস হয়। এরপর থেকেই দেশজুড়ে তীব্র আলোচনা শুরু হয়। অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, যারা নারীদের হিজাব না মানার কারণে গ্রেফতার
ও নির্যাতনের পক্ষে, তাদের পরিবার কেন এই নিয়মের বাইরে থাকবে? প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, তেহরানের একটি বিলাসবহুল হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আলি শামখানি নিজ হাতে মেয়েকে বর-এর দিকে এগিয়ে দিচ্ছেন। এসময় কনে স্ট্র্যাপলেস সাদা বিয়ের গাউন পরেছিলেন। এমনকি শামখানির স্ত্রীকেও নীল লেইসের খোলামেলা পোশাকে দেখা গেছে। যদিও কিছু অতিথি নারীকে হিজাব পরা অবস্থায় দেখা যায়, তবে সামগ্রিক পরিবেশ ছিল পশ্চিমা রীতির।এই ভিডিও প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে। অনেকে লিখেছেন, “যদি ভণ্ডামি না থাকত, তাহলে এমন অনুষ্ঠানের এত গোপনীয়তার দরকার হতো না।” আরেকজন মন্তব্য করেন, “সাধারণ নারী রাস্তায় হিজাব না পরলে কারাগারে যায়, অথচ ক্ষমতাবানদের পরিবার বিলাসবহুল হলে খোলামেলা পোশাকে আনন্দ করে!” বিষয়টি ইরানের রক্ষণশীল মহলেও ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।তবে সমালোচনার মুখে খামেনির উপদেষ্টার পক্ষ নিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন ইরানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার সংস্থার সাবেক প্রধান এজাতোল্লাহ জারগামি। তিনি দাবি করেন, অনুষ্ঠানটি ছিল শুধুমাত্র নারীদের জন্য, তাই শামখানি মাথা নিচু করে ছিলেন। তার ভাষায়, উপস্থিত নারীদের কেউ কেউ পর্দা করেছিলেন, বাকিরা ছিলেন মাহরাম বা ঘনিষ্ঠ আত্মীয়। তবে তিনি অভিযোগ করেন, ইসরাইল ভিডিওটি হ্যাক করে ফাঁস করেছে—যা ইরানের নেতাদের বিরুদ্ধে এক ধরনের নতুন ষড়যন্ত্র।/টিএ