এটিএন বাংলা, ওয়াসা ভবন, ২য় তলা, ৯৮ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫, বাংলাদেশ
ফোনঃ +88-02-55011931
Design & Developed by:
এ সম্পর্কিত আরও খবর
আফগানিস্তানের বাগরাম বিমানঘাঁটি আবারও দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার ভাষায়, আমরা সেই ঘাঁটি আবার ফেরত চাই। কিন্তু কেন হঠাৎ পুরনো ঘাঁটিকে ফিরে পেতে এমন মরিয়া হয়ে উঠেছেন ট্রাম্প? আর এটি ফিরিয়ে আনা কি আদৌ সম্ভব? বাগরাম আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল থেকে মাত্র এক ঘণ্টার দূরত্বে অবস্থিত। সোভিয়েত আমলে নির্মিত হলেও ২০০১ সালের পর এটি হয়ে ওঠে মার্কিন সেনাদের প্রধান ঘাঁটি। বিশাল রানওয়ে, গোয়েন্দা কেন্দ্র, লজিস্টিকস, এমনকি ফাস্টফুড চেইন আর কারাগার, সব মিলিয়ে একসময় একে বলা হতো মিনি আমেরিকা। আর এখান থেকেই নিয়ন্ত্রিত হতো আফগান যুদ্ধের একটি বড় অংশ। তবে ২০২১ সালে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের সময় ঘাঁটিটি
ত্যাগ করা হয়। কৌশলগত অবস্থানের কারণে ঘাঁটিটি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর এসব বিশেষ বৈশিষ্টের কারণে ট্রাম্প আবারও ফিরে পেতে চাইছেন এ ঘাটিকে। এক সংবাদসম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, আমরা সেই ঘাঁটি আবার চাই। তার মতে, বাগরাম চীনের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর খুব কাছেই অবস্থিত, সেখান থেকে পুরো অঞ্চল নজরদারিতে রাখা সম্ভব। ট্রাম্পের সমালোচকদের মতে, নিজের মেয়াদে তিনি তালেবানের সঙ্গে দোহা চুক্তি করে সেনা প্রত্যাহারের ভিত্তি তৈরি করেছিলেন। এখন আবার ঘাঁটি ফেরত চাইছেন, যা বাস্তবে খুবই কঠিন। মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা বলছেন, ঘাঁটি পুনর্দখলে অন্তত ১০ হাজার সেনা, উন্নত বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং বিপুল খরচ প্রয়োজন হবে। পাশাপাশি জঙ্গি গোষ্ঠীর হামলার ঝুঁকিও থেকে যাবে। এদিকে আফগানিস্তানের তালেবান সরকার ট্রাম্পের প্রস্তাব সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিদেশি সেনা ঘাঁটির কোনো সুযোগ নেই, সম্পর্ক হবে কেবল অর্থনীতি ও কূটনীতির ভিত্তিতে। এমনকি চীন, রাশিয়া, ইরান ও পাকিস্তানও বাগরাম পুনর্দখলের বিরোধিতা করেছে। বিশ্লেষকদের মতে, বাগরামের অবস্থান একে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অমূল্য করে তুললেও বর্তমান ভূরাজনৈতিক বাস্তবতায় ট্রাম্পের পক্ষে ঘাঁটি ফেরত পাওয়া অত্যন্ত কঠিন। এমি/এটিএন বাংলা