কেউ কেউ নাচগানে ব্যস্ত আবার কেউবা মদ নিয়ে। আবার কাউকে দেখা যাচ্ছে আয়েসী ভঙ্গিতে ফোনে কথা বলতে বলতে তাস খেলতে। এটা এমন এক যায়গা যেখানে সহযেই মিলছে টিভি. দামি খাবার এমনকি মাদকও। না এটা কোনো বিলাসবহুল রিসোর্ট নয় বা পাড়ার কোনো ক্লাবের পার্টিও নয়। শুনতে আশ্চর্য হলেও সত্য এটি আসলে একটি জেলখানা এবং কয়েদিদের লাগামছাড়া আনন্দের দৃশ্য। আর এমন দৃশ্য কেউ ভিডিও করে নেটদুনিয়ায় ছড়িয়ে দিলে তা দ্রুতই ভাইরাল হয়ে যায়।
ঘটনাটি ঘটেছে, ভারতে। সেখানকার এক কেন্দ্রীয় কারাগারে যা ঘটেছে তা সিনেমাকেও হার মানিয়েছে। যেখানে জন নিরাপত্তার খাতিরে কয়েদিদের কড়া পাহাড়ায় রাখার কথা, সেখানে রীতিমত আনন্দ উৎসবে মেতে আছে ভয়ংকর অপরাধে

অভিযুক্ত কয়েদিরা। ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে দেখা গেছে, প্লাস্টিকের গ্লাসে মদ ঢালছে বন্দিরা, পাশে সাজানো ফল আর ভাজা চিনাবাদাম। অন্য এক ভিডিওতে সুরের তালে নাচছে কয়েকজন কয়েদি, টেবিলে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে চারটি মদের বোতল।
এর আগেও শনিবার আইএসআইএস সদস্য ও এক সিরিয়াল খুনির জেলের ভেতর মোবাইল ফোনে কথা বলা ও টেলিভিশন দেখার দৃশ্য ভাইরাল হয়েছিল। তার পরদিনই বেঙ্গালুরুর এই নতুন পার্টির ভিডিওগুলো প্রকাশ্যে আসে।প্রথম ভিডিওতে দেখা গেছে, আইএসআইএস রিক্রুটার জুহাইব হামিদ শাকিল মান্না জেলের ভেতর ফোনে কথা বলছেন ও চা খাচ্ছেন। অন্য এক ভিডিওতে সিরিয়াল খুনি ও ধর্ষক উমেশ রেড্ডিকে দুটি অ্যান্ড্রয়েড ফোন ও একটি বাটন ফোন ব্যবহার করতে দেখা যায়। এতেই শেষ নয়! সোনা চোরাচালান মামলার বন্দি রাজু নামের এক তরুণকেও দেখা গেছে জেলের ভেতরই রান্না করতে ও ফোনে কথা বলতে।
ফাঁস হওয়া এসব ভিডিওতে সমালোচনার ঝড় উঠেছে নেটদুনিয়ায়। প্রশ্ন উঠেছে, জেলের নিরাপত্তা কোথায়? সাধারণ মানুষ থেকে রাজনীতিবিদ, সবাই ক্ষোভ প্রকাশ করছেন কর্ণাটক সরকারের ভূমিকা নিয়ে।ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া বলেছেন, “জেল প্রশাসনের ভেতরকার অনিয়ম কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।এছাড়াও রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি. পরমেশ্বর আরও কঠোরভাবে জানিয়েছেন, “যে কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী এতে জড়িত থাকলে ছাড় দেওয়া হবে না। এ ঘটনায় ইতিমধ্যে কারা বিভাগ তদন্ত শুরু করেছে, এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।