
এটিএন বাংলা, ওয়াসা ভবন, ২য় তলা, ৯৮ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫, বাংলাদেশ
ফোনঃ +88-02-55011931
এ সম্পর্কিত আরও খবর
দেশজুড়ে বইছে নির্বাচনী উত্তাপ। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘিরে চলছে নানা আলোচনা। নির্বাচন কবে অনুষ্ঠিত হবে তা নিয়ে আগ্রহের শেষ নেই সাধারণ জনগণ থেকে দলীয় নেতাকর্মীদের। যদিও ধারণা করা হচ্ছ ২০২৬ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হতে পারে । তবে চূড়ান্ত দিনটি জানতে অপেক্ষা করতে হবে আরও কয়েক দিন। কারণ ভোটের দিন নির্ধারণে আগামী ৭ ডিসেম্বর বৈঠকে বসতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
ইসি সূত্র জানিয়েছে, কর্মকর্তাদের পুরো প্রস্তুতি এখন শেষ পর্যায়ে। রোববারের বৈঠকে তারিখ চূড়ান্ত হলেই তারা মাঠপর্যায়ে কাজ শুরু করবেন। মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সূত্রটি নিশ্চিত করে জানায়, ভোটের তারিখ ঘোষণার জন্য কমিশন ইতোমধ্যেই সব
তফসিল ঘোষণা ও ভোটের সম্ভাব্য দিন সম্পর্কে ইসি জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে কয়েকটি তারিখ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। রোববারের বৈঠকের পর আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যেই যেকোনো দিন তফসিল ঘোষণা করা হবে। সূত্র বলছে, ৮ থেকে ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যবর্তী যেকোনো সময় নির্বাচন বা গণভোট হতে পারে। তারিখ দু’এক দিন এদিক–সেদিকও হতে পারে, তবে সময়সীমা থাকবে এই পরিসরের মধ্যেই।
এদিকে ভোটগ্রহণের সময় বাড়ানোর চিন্তাও করছে কমিশন। নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, যেহেতু একই দিনে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠিত হবে, তাই প্রতিটি কেন্দ্রে গোপন কক্ষ বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ভোটের সময় বাড়িয়ে নয় ঘণ্টা করা হতে পারে। এখন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হয়, কিন্তু তা সাড়ে ৭টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত করার প্রস্তাব বিবেচনায় রয়েছে।
নির্বাচন সামনে রেখে ইসির প্রস্তুতি এখন প্রায় চূড়ান্ত। ভোটার তালিকা হালনাগাদ থেকে শুরু করে আইন-বিধি সংশোধন, রাজনৈতিক দল ও পর্যবেক্ষক নিবন্ধন, ব্যালট ছাপানো—সব কাজই শেষ পর্যায়ে। গণভোট যুক্ত হওয়ায় অতিরিক্ত ব্যয়, ব্যালট পেপার ও গোপন কক্ষের সংখ্যা বাড়াতে হয়েছে। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারের বিভিন্ন বিভাগের প্রধানদের সঙ্গে একাধিক দফায় বৈঠকও শেষ করেছে ইসি। বর্তমানে বাজেট নিয়ে চূড়ান্ত আলোচনা চলছে, আর অপেক্ষা শুধু নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার।
/টিএ