
এটিএন বাংলা, ওয়াসা ভবন, ২য় তলা, ৯৮ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫, বাংলাদেশ
ফোনঃ +88-02-55011931
এ সম্পর্কিত আরও খবর
মধ্যপ্রাচ্যে আবারও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে ইরান-ইসরায়েলকে ঘিরে। মাত্র ১২ দিনের সংঘাতে ইরান যে সামরিক শক্তি প্রদর্শন করেছে, তা আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের দৃষ্টি কেড়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ইরানের আধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ইসরায়েলের ‘আয়রন ডোম’ প্রতিরক্ষা প্রযুক্তিকে প্রায় অকার্যকর করে দিতে সক্ষম। এমনকি প্রয়োজনে মাত্র ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর ক্ষমতা রাখে ইরান।
সাবেক মার্কিন সেনা কর্নেল ডগলাস ম্যাকগ্রেগর সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ভাণ্ডার এতটাই উন্নত যে ইসরায়েলের সামরিক অবকাঠামো অল্প সময়েই ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। তবে তিনি স্পষ্ট করেছেন, ইরান আগ্রাসন নয়, বরং প্রতিরক্ষার লক্ষ্যেই তাদের সামরিক শক্তি গড়ে তুলেছে। ম্যাকগ্রেগরের মতে, “ইরান জানে কীভাবে প্রতিরোধ করতে হয়, কিন্তু তারা
গত সংঘাতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলের আয়রন ডোম কার্যত অচল হয়ে পড়েছিল বলে দাবি করেছে তুর্কি বিশ্লেষক ইবরাহিম কালাশ। তার মতে, এই হামলায় ইরান প্রমাণ করেছে যে ইসরায়েলের অজেয় ভাবমূর্তি আর টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়। আক্রমণের সময় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও অন্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের নিরাপত্তার জন্য বাঙ্কারে আশ্রয় নিতে হয়েছিল— যা দেশটির জন্য এক বিব্রতকর মুহূর্ত তৈরি করে।
পশ্চিমা নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা সতর্ক করে বলেছেন, ইরানের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রচলিত কোনো প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় ঠেকানো সম্ভব নয়। ন্যাশনাল ইন্টারেস্ট–এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের ফাতাহ সিরিজের ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের যেকোনো সুরক্ষা বলয় ভেদ করে লক্ষ্যবস্তুতে ব্যাপক ক্ষতি করতে পারে। এসব ক্ষেপণাস্ত্রের গতি ও নির্ভুলতা ইরানকে এক ভয়ংকর প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করিয়েছে।
ইরানের সাম্প্রতিক সামরিক প্রদর্শনী বিশ্বকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে—এই দেশ প্রয়োজনে শত্রুর মূলভূমিতেও আঘাত হানতে সক্ষম। বিশেষজ্ঞদের মতে, ইরান চাইলে ইসরায়েলের কৌশলগত স্থাপনা—যেমন ডিমোনা পারমাণবিক চুল্লি বা হাইফা বন্দর—উরিয়ে দিতে পারে। ফলে ইরানের এই অগ্রগতি শুধু ইসরায়েল নয়, পুরো পশ্চিমা নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য এক বড় সতর্ক সংকেত হয়ে উঠেছে।
/টি