এটিএন বাংলা, ওয়াসা ভবন, ২য় তলা, ৯৮ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫, বাংলাদেশ
ফোনঃ +88-02-55011931
Design & Developed by:
এ সম্পর্কিত আরও খবর
অবশেষে গাজা ইস্যুতে সরব হলো মুসলিম দেশ সৌদি আরব। এবং ইসরাইলের জন্য এক কঠোর পদক্ষেপ নিলো দেশটি। দেশটির জন্য এবার রেড লাইন টেনে দিল সৌদি আর তা অতিক্রম করলেই ব্যবস্থা নেবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা। আর তাতে যেন নতুন করে দুশ্চিন্তায় পড়লেন নেতানিয়াহু। মধ্যপ্রাচ্যের অস্থির পরিস্থিতির মাঝেই ইসরায়েলকে তারা স্পষ্ট করে দিয়েছে, পশ্চিম তীর তাদের জন্য রেড লাইন। যদি ইসরায়েল এ সীমা অতিক্রম করে, তবে কঠোর পদক্ষেপ নিতে দ্বিধা করবে না সৌদি। পশ্চিম তীরকে সংযুক্ত করার যেকোনো পদক্ষেপ কেবল ফিলিস্তিনিদের জন্য বিপর্যয় বয়ে আনবে না, বরং আঞ্চলিক শান্তি চুক্তির ভবিষ্যৎকেও চরম ঝুঁকির মুখে ফেলবে। যদিও রিয়াদ এখনো সুনির্দিষ্ট করে বলেনি কী ধরনের
ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে ধারণা করা হচ্ছে, সৌদি–ইসরায়েল স্বাভাবিকীকরণের সম্ভাবনা পুরোপুরি বাতিল হয়ে যাবে। এমনকি আবারও ইসরায়েলি বিমানের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়ার মতো পদক্ষেপ আসতে পারে। বিশ্লেষকদের মতে, পশ্চিম তীর ইসরায়েলের সঙ্গে জুড়ে দিলে সৌদি–ইসরায়েলের আন্ডার দ্য রাডার নিরাপত্তা সহযোগিতা এবং বাণিজ্য সম্পর্ক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। শুধু তাই নয়, আব্রাহাম চুক্তিও কার্যত ভেঙে পড়তে পারে, যার পরিণতিতে নতুনভাবে আরব–ইসরায়েল সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে পারে। এর আগেই সংযুক্ত আরব আমিরাত সতর্ক করেছিল, পশ্চিম তীর দখল হলে সেটিই হবে চূড়ান্ত রেড লাইন। আবুধাবির মতে, এটি শুধু আব্রাহাম চুক্তিকে বিপন্ন করবে না, বরং আঞ্চলিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করার সব প্রচেষ্টাকে ধ্বংস করবে। অন্যদিকে, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন সামনে রেখে ফ্রান্স ও সৌদি আরব আবারও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান বলেছেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়া দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের পথে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর মতে, এ ধরনের পদক্ষেপ শুধু ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করবে না, বরং মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টাকেও এগিয়ে নেবে। সম্প্রতি যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও পর্তুগাল ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এর আগে স্পেন, আয়ারল্যান্ড ও নরওয়ে একই সিদ্ধান্ত নেয়। কূটনৈতিক মহলে ধারণা, দ্রুতই আরও কিছু ইউরোপীয় দেশ এই ধারায় যুক্ত হতে পারে। এমি/এটিএন বাংলা