
এটিএন বাংলা, ওয়াসা ভবন, ২য় তলা, ৯৮ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫, বাংলাদেশ
ফোনঃ +88-02-55011931
এ সম্পর্কিত আরও খবর
হজ ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের একটি, যা প্রত্যেক সামর্থবান মুসলমানের জীবনে অন্তত একবার পালন করা ফরজ। আসন্ন হজ মৌসুমকে সামনে রেখে সৌদি সরকার হজযাত্রীদের জন্য নতুন স্বাস্থ্যবিধি জারি করেছে। এর অধীনে প্রত্যেক হজযাত্রীকে স্বাস্থ্যের ঝুঁকি না থাকার বিষয়ে একটি প্রত্যয়নপত্র জমা দিতে হবে। এজন্য হজযাত্রী পাঠানো সব দেশকে তাদের নাগরিকদের পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন করে সেই প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়। তবে প্রশ্ন হচ্ছে—কোন কোন রোগ থাকলে হজ পালনের অনুমতি দিবেনা সরকার!
সৌদি সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, যেসব ব্যক্তি দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত, তাদের হজ পালনের অনুমতি দেওয়া হবে না। মূলত শারীরিকভাবে অক্ষম বা গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকা কোনো ব্যক্তি যেন পবিত্র
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, শরীরের প্রধান অঙ্গগুলো অকার্যকর বা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে হজের অনুমতি দেওয়া হবে না। যেমন—ডায়ালাইসিসে থাকা কিডনি রোগী, গুরুতর হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তি, সারাক্ষণ অক্সিজেন প্রয়োজন হয় এমন ফুসফুস রোগী এবং ভয়াবহ লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা হজে যেতে পারবেন না। একইভাবে, গুরুতর মানসিক বা স্নায়বিক ব্যাধি এবং উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভাবস্থার ক্ষেত্রেও হজে অনুমতি মিলবে না।
এছাড়া, যক্ষ্মা, ভাইরাল হেমোরেজিক জ্বরের মতো সংক্রামক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি এবং যারা ক্যানসারের কারণে কেমোথেরাপি বা ইমিউনোথেরাপি নিচ্ছেন, তাদেরও হজে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হবে না। এসব রোগের মাধ্যমে অন্য হজযাত্রীদের সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে বলে সৌদি সরকার এমন পদক্ষেপ নিয়েছে।
হজযাত্রী পাঠানো প্রতিটি দেশকে ‘নুসুক মাসার’ নামক অনলাইন প্ল্যাটফর্মে স্বাস্থ্য সনদ ইস্যু করতে বলা হয়েছে। এই সনদের মাধ্যমে হজযাত্রীর স্বাস্থ্যঝুঁকি না থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে। সৌদি সরকারের মনিটরিং দল এসব সনদের সত্যতা যাচাই করবে এবং কোনো দেশের হজযাত্রী তালিকায় অনুপযুক্ত ব্যক্তি পাওয়া গেলে সংশোধনমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
/টিএ