এটিএন বাংলা, ওয়াসা ভবন, ২য় তলা, ৯৮ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫, বাংলাদেশ
ফোনঃ +88-02-55011931
Design & Developed by:
এ সম্পর্কিত আরও খবর
ঘড়িতে তখন রাত ১২টা বেজে ১ মিনিট। অক্টোবর মাসের শুরু। কিন্তু এই নতুন মাসের শুরুতেই বেশ বড় ধরণের দুঃসংবাদ দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বলা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কারযক্রম আংশিকভাবে অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ থাকবে। আর তাতে করে এবার বড় ধরণের বিপদে পড়তে যাচ্ছেন মার্কিন নাগরিকরা। এমনকি এর ফলে সরকারি চাকরিও হারাতে বসেছেন লাখ লাখ মানুষ। কেন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কার্যক্রম আংশিকভাবে বন্ধ হয়ে গেছে? আর এর ফলে কি অচল হতে পারে গোটা দেশ? যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকার আংশিকভাবে তাদের কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে। সিনেটে বাজেট বিল পাসে ব্যর্থ হওয়ায় বুধবার মধ্যরাতের পর থেকে সরকারি কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়। ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানদের মধ্যে
চূড়ান্ত চুক্তি না হওয়ায় চলতি বছরের জন্য বাজেট অনুমোদন হয়নি। এর ফলে প্রায় সাড়ে সাত লাখ সরকারি কর্মচারীকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটিতে পাঠানো হতে পারে বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প। সাধারণত পূর্বের শাটডাউনে অস্থায়ীভাবে ছাঁটাই হওয়া কর্মীরা পরবর্তীতে বকেয়া বেতন পান। কিন্তু ট্রাম্প এবার সতর্ক করে বলেছেন যে এবার হয়তো অনেক সরকারি কর্মকর্তাকে স্থায়ীভাবে চাকরি হারাতে হতে পারে। শাটডাউনে সরকারী কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও জরুরি দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের এসময় বেতন ছাড়াই কাজ চালিয়ে যেতে হবে। যাদের মধ্যে পুলিশ, মিলিটারির কর্মচারী, আইন প্রণয়নকারীরা এবং জরুরি স্বাস্থ্য সেবার কর্মীরা রয়েছেন। এছাড়া শাটডাউনের মধ্যেও কিছু কার্যক্রম চালু থাকবে। এর মধ্যে রয়েছে নাসার মহাকাশ মিশন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অভিবাসন নীতি বাস্তবায়ন এবং FDA ও USDA-এর গুরুত্বপূর্ণ জনস্বাস্থ্য কার্যক্রম। তবে সাধারণ নাগরিক ও অন্যান্য সরকারি সেবায় এই সময় ব্যাপক বিলম্ব ও প্রভাব পড়তে পারে। যদিও এমন ঘটনা এবারই প্রথম নয়। ১৯৮০ সালের পর থেকে এক ডজনেরও বেশি বার মার্কিন সরকার আংশিকভাবে বন্ধ হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘ শাটডাউন ২০১৮–২০১৯ সালে হয়েছিল, যা ৩৪ দিন স্থায়ী হয়েছিল। তবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, তিনি এ সুযোগে ফেডারেল কর্মচারীদের সংখ্যা নাটকীয়ভাবে কমিয়ে দিতে পারেন, ফলে শুধুমাত্র কর্মচারীরাই নয়, যা ফলে গোটা দেশই ভয়ঙ্কর আর্থিক ও প্রশাসনিক অচলাবস্থার মুখোমুখি হতে হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এমি/এটিএন বাংলা