এটিএন বাংলা, ওয়াসা ভবন, ২য় তলা, ৯৮ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫, বাংলাদেশ
ফোনঃ +88-02-55011931
Design & Developed by:
এ সম্পর্কিত আরও খবর
বিমান ভ্রমণ মানেই আরাম আয়েশ। আর এমনটা যারা ভাবেন তাদের ধারণাকে রীতিমত মিথ্যে করে দিয়েছে এক কিশোর। হঠাৎ না বুঝে কৌতুহল বশত বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ারে উঠে বসে কিশোরটি। আর তাতে যা ঘটল তাতে রীতিমত চোখ কপালে উঠবে যে কারোরই। এবার রীতিমত এক চ্যালেঞ্জিং বিমান ভ্রমণ করল সেই কিশোর। ল্যান্ডিং গিয়ারের ভেতরে লুকিয়ে এক দেশ থেকে আরেক দেশে গেল এক কিশোর। তাও আবার আধা ঘন্টা কিংবা এক ঘন্টা নয়। টানা দুই ঘন্টা গিয়ারে লুকিয়ে আকাশে উঠতে থাকে ওই কিশোর। জানা গেছে, আফগানিস্তানের কাবুল থেকে উড়োজাহাজের ল্যান্ডিং গিয়ারের ভেতরে ঢুকে ভারতে পৌঁছায় কিশোর। আফগানিস্তানের কাবুল থেকে দিল্লি—দুই দেশের মাঝে আকাশচুম্বী ঝুঁকি, হাড় কাঁপানো ঠান্ডা
আর প্রাণঘাতী চাপ সত্ত্বেও বেঁচে ফিরল মাত্র ১৩ বছরের এক কিশোর। সোমবার সকালে কেএএম এয়ারলাইন্সের আরকিউ–৪৪০১ ফ্লাইটটি দিল্লিতে নামতেই দেখা গেছে এমন চমকপ্রদ দৃশ্য। বিমানের পাশে বিধ্বস্ত শরীর নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল কিশোরটি। শরীরে ছিল কেবল একটি পাঞ্জাবি, আর চোখেমুখে ক্লান্তির ছাপ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে জানিয়েছে, তার বাড়ি আফগানিস্তানের কুন্দুজ শহরে। কেবল কৌতূহলের বশেই কাবুল বিমানবন্দরে লুকিয়ে বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ারে প্রবেশ করেছিল। কোনো খাবার, পানি কিংবা নিরাপত্তার চিন্তা না করেই কেবল অভিযানের নেশায় এই জীবনবিপন্ন যাত্রা শুরু করে সে। পরে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা কর্মীরা তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন এবং ফিরতি ফ্লাইটেই কাবুলে পাঠিয়ে দেন। এ সময় বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ার থেকে উদ্ধার করা হয় একটি ছোট লাল রঙের স্পিকার, যা কিশোরটির ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।ঘটনার পর বিমানটিকে পুঙ্খানুপুঙ্খ তল্লাশি চালিয়ে নিরাপদ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। তবে এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিস্ময় ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই কিশোরের ‘সাহসিকতা’ দেখে অবাক হলেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আকাশের সেই উচ্চতায় প্রবল ঠান্ডা ও অক্সিজেনের ঘাটতি সত্ত্বেও তার বেঁচে থাকা একপ্রকার অলৌকিক ঘটনা।একইসঙ্গে নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা প্রশ্ন তুলছেন, বিমানবন্দরের কড়াকড়ি সত্ত্বেও কিশোরটি কীভাবে এত সহজে ল্যান্ডিং গিয়ারে প্রবেশ করল? তাদের মতে, সামান্য অবহেলাও এ ধরনের ঘটনায় ভয়াবহ দুর্ঘটনার কারণ হতে পারত। এমি/এটিএন বাংলা