এটিএন বাংলা, ওয়াসা ভবন, ২য় তলা, ৯৮ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫, বাংলাদেশ
ফোনঃ +88-02-55011931
Design & Developed by:
এ সম্পর্কিত আরও খবর
একটি ভুল সিদ্ধান্ত কেবল নিজের নয় বরং পরিবারের জন্যও বয়ে আনে সীমাহীন শোক আর অবিরাম দুঃখ-হাহাকার। ঠিক তেমনি মাদারিপুরের এক যুবকের ভুল সিদ্ধান্তের বলি কেবল তিনিই নন বরং তার পরিবারও হয়েছে। পরিবারকে আরো স্বচ্ছল করতে তিনি দুবাই গেছেন বলে জানে তার পরিবার। কিন্তু খবর এলো তিনি দুবাইয়ে যাননি বরং পাকিস্তানে সেনা অভিযানে মারা গেছেন। হতভম্ব পরিবার যেন কিছুই বুঝতে পারছে না যে হঠাৎ তাদের আদরের সন্তান দুবাইয়ে না গিয়ে পাকিস্তানে কেন গিয়েছিলেন? এর নেপথ্যেই বা কী কারণ? এবার সেই চাঞ্চল্যকর ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। আর তার পরিবারকে মুখোমুখি হতে হয়েছে সেই হৃদয়বিদারক সত্যের। পাকিস্তানে সেনা অভিযানে নিহত হয়েছেন মাদারীপুরের বছর বাইশের তরুণ
ফয়সাল হোসেন। নিষিদ্ধ সংগঠন তেহরিক-ই-তালেবানে (টিটিপি) যোগ দেওয়া এই যুবকের মৃত্যুতে তাঁর গ্রামের বাড়ি কালিকাপুর ইউনিয়নের ছোট দুধখালীতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। পরিবারের কাছে তিনি ছিলেন দুবাইপ্রবাসী। কারণ, চলতি বছরের মার্চে তিনি হঠাৎ কাউকে না জানিয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন আর পরিবারকে দুবাই গিয়েছেন বলে মিথ্যে বলেছিলেন। আর কেউ তখন ঘূণাক্ষরেও টের পায়নি ব্যাপারটি। সেই গল্পেই ভরসা রেখে স্বজনরা অপেক্ষায় ছিলেন তার দেশে ফেরার। কিন্তু ফিরলেন না তিনি, অবশেষে ফিরলো তাঁর অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুসংবাদ। গত শুক্রবার রাতে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের কারাক জেলায় সেনা অভিযানে ১৭ টিটিপি সদস্য নিহত হয়। তাদের মধ্যে ছিলেন হতভাগ্য ফয়সালও। খবরটি প্রকাশ্যে আসতেই রবিবার দুপুরে তাঁর বড় ভাই আরমান মোড়ল বিষয়টি নিশ্চিত হন। আর সোমবার সকালে মাদারীপুরের বাড়িতে পৌঁছায় সেই শোকের খবর। মা চায়না বেগম তখনও জানতেন না, তাঁর আদরের ছেলে ফয়সাল এভাবে মারা গেছেন। তিনি ভেবেছিলেন, দুবাইয়ে হয়তো অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। কিন্তু নানা জয়নাল ব্যাপারীর কান্না আর তার মুখে মৃত্যুসংবাদ শুনে হাউমাউ করে কেঁদে উঠলেন তিনি। চারপাশে ভিড় জমালেন প্রতিবেশীরা, কান্নায়- আহাজারিতে যেন পুরো শোকের মাতম বইছে গোটা গ্রামে। দ্য ডিসেন্ট নামের অনলাইন সংবাদমাধ্যম প্রথম ফয়সালের মৃত্যুসংবাদ প্রকাশ করে। তাদের তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে পাকিস্তানে টিটিপির হয়ে যুদ্ধ করতে গিয়ে অন্তত চারজন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় স্থানীয়রা সরকারের কাছে দাবি তুলেছেন,ফয়সালের মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনা হোক, আর যারা তরুণদের বিভ্রান্ত করে জঙ্গিবাদের পথে নিচ্ছে, তাদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হোক। মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন, পরিবার চাইলে আইনগত সহায়তা দেবে পুলিশ। আর তার মরদেহ দেশে আনার ব্যাপারেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমি/এটিএন বাংলা