এটিএন বাংলা, ওয়াসা ভবন, ২য় তলা, ৯৮ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫, বাংলাদেশ
ফোনঃ +88-02-55011931
Design & Developed by:
এ সম্পর্কিত আরও খবর
বাংলাদেশের ইলিশ ছাড়া যেন পশ্চিমবঙ্গের দুর্গাপূজা অপূর্ণ। পূজার ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের সঙ্গে ইলিশের সম্পর্ক না থাকলেও, বাঙালি জীবনে উৎসব মানেই খাওয়া-দাওয়া, আর সেই মেন্যুতে ইলিশ না থাকলে যেন জমেই না সেখানকার বাঙালির শারদীয় উৎসব। তাই প্রতিবছরই দুর্গাপূজাকে ঘিরে ভারতে বিপুল পরিমাণ ইলিশ রপ্তানি করে বাংলাদেশ। এমনকি সরকারের পটপরিবর্তনের পর ধারণা করা হয়েছিলো এই বুঝি এতদিন ধরে চলে আসা নিয়ম বন্ধ হতে চলেছে। কিন্তু দেশের জনগণকে অবাক করে দিয়ে আবারও ইলিশ রপ্তানি হয়েছিল ভারতে। আর বরাবরের মতো এবারও সেই অপেক্ষার অবসান হলো। এবার ভারতে ৩৭ দশমিক ৪৬ মেট্রিক টন বা প্রায় ৯৭৯ মণ ইলিশ রপ্তানি করা হয়েছে। ভারতের অনুরোধে সরকার এবার ১২৫০ টন
ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে বলে জানা গেছে। এরই মধ্যে ৩৭টি প্রতিষ্ঠানকে রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে সাতটি ট্রাকে করে এরই প্রথম চালান ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে প্রবেশ করেছে।কলকাতার পাঁচটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান, ন্যশনাল ট্রেডিং, এফএনএস ফিশ, জয় শান্তসী, মা ইন্টারন্যাশনাল ও আর জে ইন্টারন্যাশনাল এ চালান গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশ থেকে সততা ফিশ, তানিশা এন্টারপ্রাইজ, বিশ্বাস এন্টারপ্রাইজ, লাকী ট্রেডিং ও স্বর্ণালি এন্টারপ্রাইজ ইলিশ রপ্তানি করেছে বলে বেনাপোল বন্দরসূত্রে জানা গেছে। কিন্তু প্রশ্ন, সাম্প্রতিক সময়ে এত দ্বন্দ্ব থাকা সত্ত্বেও কেন ভারতে ইলিশ পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ? আপস মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার জানিয়েছেন, প্রতিবেশী দেশের অনুরোধ, দুর্গাপূজার বিশেষ তাৎপর্য এবং কূটনৈতিক সম্পর্কের ভারসাম্য বিবেচনায় সীমিত আকারে রপ্তানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হলেও, প্রতিবেশী দেশের অনুরোধও উপেক্ষা করা সম্ভব হয়নি। তাই গতবছরে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর দ্বন্দ্ব থাকা সত্ত্বেও তুলনামূলক কম পরিমাণে হলেও ইলিশ পেয়েছিল ভারত। এবারে প্রতি কেজি ইলিশের রপ্তানি মূল্য ধরা হয়েছে ১২ দশমিক ৫ মার্কিন ডলার। তবে এর প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের স্থানীয় বাজারে। চাঁদপুরসহ বিভিন্ন অঞ্চলে ইলিশের দাম ইতিমধ্যে অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গেছে। ফলে সাধারণ ভোক্তাদের নাগালের বাইরে চলে গেছে জাতীয় মাছ ইলিশ। যদিও ভারতের বাজারেও এ ইলিশের দাম বেশ বাড়তি বলেই জানা গেছে। পাইকারি বাজারে এক কেজি ইলিশের দাম ধরা হচ্ছে প্রায় ১৬০০ টাকা, আর খুচরোতে তা বেড়ে ২০০০–২২০০ টাকায় পৌঁছাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও মুম্বাই ও গুজরাতের ইলিশ দিয়ে ইতোমধ্যেই ভারতের বাজার ভরে গেছে। তবুও যেন বাংলাদেশের ইলিশেই মন পড়ে আছে ভারতীয় ক্রেতাদের। কারণ ইলিশের চেনা গন্ধ ও অনন্য স্বাদ কেবল পদ্মা আর চাঁদপুরের ইলিশেই মেলে। এমি/এটিএন বাংলা