এটিএন বাংলা, ওয়াসা ভবন, ২য় তলা, ৯৮ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫, বাংলাদেশ
ফোনঃ +88-02-55011931
Design & Developed by:
এ সম্পর্কিত আরও খবর
বাংলাদেশের নাট্যজগতের এক প্রবাদপ্রতিম ব্যক্তিত্ব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের প্রথিতযশা অধ্যাপক ড. ইস্রাফিল শাহীন, বর্তমানে এক বহুমাত্রিক সফরে উত্তর আমেরিকার মাটিতে অবস্থান করছেন। নাট্যতত্ত্ব, শিল্পকলা এবং সংস্কৃতির মূল সুর নিয়ে তাঁর এই সফর কানাডা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাট্যপ্রেমী ও চিন্তাবিদ মহলে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। তাঁকে ঘিরে তৈরি হয়েছে এক উষ্ণ পরিবেশ, যা তাঁর গভীর দর্শনের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধারই বহিঃপ্রকাশ।অধ্যাপক শাহীনকে তাঁর ছাত্র ও অনুসারীরা কেবল একজন শিক্ষাবিদ হিসেবে দেখেন না; তিনি 'জীবন্ত প্রতিষ্ঠান' হিসেবে সমাদৃত, যিনি মানবতা, শিল্পকলা এবং সংস্কৃতির মৌলিক সারবস্তুকে এক দার্শনিক ছাতার নিচে এনেছেন। তাঁর মূল শিক্ষা হলো—অভিনয় কেবল মঞ্চের প্রদর্শন নয়, এটি
জীবনের সত্যকে শৈল্পিক উপস্থাপনায় রূপান্তরিত করার শিল্প। তিনি প্রায়শই স্মরণ করিয়ে দেন, তাঁর দর্শনের মূল কথাটি- “থিয়েটার হলো মানবাত্মাকে বোঝার এক নিরবচ্ছিন্ন যাত্রা।”ড. ইস্রাফিল শাহীনের এই গুরুত্বপূর্ণ সফরের সূচনা হয় ৫ অক্টোবর, ২০২৫ তারিখে কানাডার টরেন্টো-তে একটি সফল নাট্য বিষয়ক কর্মশালা পরিচালনার মাধ্যমে। এই কর্মশালায় তিনি মূলত 'অভিনেতার দেহভাষা এবং সত্যের পথে যাত্রা'—এই বিষয়গুলির উপর আলোকপাত করেন। প্রবাসে বেড়ে ওঠা বাঙালি নাট্যকর্মীরা কীভাবে বাংলা নাটকের ঐতিহ্যের শিকড় ধরে রেখেও বিশ্ব নাটকের আধুনিক কৌশলগুলির সাথে নিজেদের যুক্ত করতে পারে, সেই বিষয়ে তিনি মূল্যবান দিকনির্দেশনা দেন।টরেন্টোর সাফল্য শেষে তিনি নিউ ইয়র্কে এসে ৯ অক্টোবর সন্ধ্যায় শহরের সংস্কৃতি কর্মীদের এক গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে বক্তা হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। ‘সংস্কৃতির চর্চা ও বাংলা নাটক’ শিরোনামের এই বক্তৃতায় তিনি প্রবাসে বাংলা সংস্কৃতি ও নাটকের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন এবং বিশ্বায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নাটকের ভূমিকা তুলে ধরেন। তাঁর বক্তব্য শুনতে নিউ ইয়র্কের শিক্ষাবিদ, শিল্পী, এবং প্রবাসী বাঙালি, কমিউনিটি নেতারা উপস্থিত ছিলেন।অধ্যাপক শাহীনের এই সফরের চূড়ান্ত আকর্ষণ হিসেবে অপেক্ষায় রয়েছে আগামী ১২ অক্টোবর, ২০২৫ তারিখে নিউ ইয়র্কে অনুষ্ঠিতব্য "শিল্পাঙ্গন নাট্যলাপ"। এই অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে তাঁর যোগদান, পুরো সফরের অভিজ্ঞতার নির্যাস এবং তাঁর নাট্যদর্শনকে আরও গভীরভাবে তুলে ধরার সুযোগ এনে দেবে।দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে তাঁর এই উপস্থিতি নিঃসন্দেহে বিশ্বজুড়ে নাট্যচর্চাকারীদের জন্য এক বিশাল অনুপ্রেরণা। আমাদের প্রত্যাশা, ড. ইস্রাফিল শাহীন স্যারের এই মহৎ উদ্দেশ্য ও দৃষ্টি ভবিষ্যৎ প্রজন্মকেও আলোকিত করে যাবে।