এটিএন বাংলা, ওয়াসা ভবন, ২য় তলা, ৯৮ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫, বাংলাদেশ
ফোনঃ +88-02-55011931
Design & Developed by:
এ সম্পর্কিত আরও খবর
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন দেশের পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স লিংক – ইউটিএল এর নেতৃবৃন্দ। আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে চারটায় অনুষ্ঠিত এই সাক্ষাৎ পরবর্তী মতবিনিময় সভায় ইউটিএল-এর আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. আতাউর রহমান বিশ্বাস এবং সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিলাল হোসাইনের নেতৃত্বে দশ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। সভায় ইউটিএল-এর মিশন ও ভিশন তুলে ধরা হয় ইউজিসি চেয়ারম্যানের সামনে। এ সময় প্রতিনিধি দল দেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থা, শিক্ষক সমাজের পেশাগত মর্যাদা এবং বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে মোট আটটি দাবি ও প্রস্তাবনা উপস্থাপন করে। তাদের দাবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য— ১. জুলাই অভ্যুত্থানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের
অবদানের একাডেমিক ডকুমেন্টেশন এবং সব বিশ্ববিদ্যালয়ে “জুলাই কর্নার” প্রতিষ্ঠা। ২. বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল। ৩. পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সমান গবেষণা সুযোগ ও চাকরির নিরাপত্তা। ৪. শিক্ষক নিয়োগে আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখা এবং অতীতে হওয়া অনিয়ম তদন্ত। ৫. আবাসন, বৃত্তি এবং গবেষণা ফান্ড বৃদ্ধির দাবি। ৬. বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার জন্য বিশেষায়িত ক্যাম্পাস পুলিশ নিয়োগ এবং জরুরি হটলাইন চালু। ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ বলেন, জুলাইকে কেন্দ্র করে একটি শিক্ষক সংগঠনের প্রয়োজন ছিল। শিক্ষকদের স্বতন্ত্র বেতন স্কেল নিয়ে মন্ত্রণালয়ে আলোচনা করা হবে। পাশাপাশি দ্রুত সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে জুলাই কর্নার প্রতিষ্ঠা করা হবে। তিনি আরও আশ্বাস দেন, ইউটিএল-এর অন্যান্য প্রস্তাবনা বাস্তবায়নে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ সময় প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে বলা হয়, এসব দাবি বাস্তবায়িত হলে দেশের উচ্চশিক্ষা আরও এগিয়ে যাবে এবং শিক্ষক সমাজ মর্যাদা নিয়ে দায়িত্ব পালনে উৎসাহিত হবেন। প্রতিনিধি দলে ছিলেন—ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এস মনিরা আহসান, বুয়েটের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহবুব রাজ্জাক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এইচ এম মোশারফ হোসাইন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ফারজানা ইয়াসমিন চৌধুরীসহ আরও কয়েকজন। এমআর/এটিএন বাংলা