এটিএন বাংলা, ওয়াসা ভবন, ২য় তলা, ৯৮ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫, বাংলাদেশ
ফোনঃ +88-02-55011931
Design & Developed by:
এ সম্পর্কিত আরও খবর
জীবিকার তাগিদে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সুন্দরবনে মাছ ধরেন শত শত জেলে। কখনো আরাকান আর্মির হামলার ভয় কখনোবা বাঘ, কুমিরসহ বিপদে ভরা এলাকায় বাধ্য হয়ে মাছ ধরতে আসেন তারা। আর তাতে অনেকেই প্রাণ হারান। আর এবারও সেখানে ঘটে গেছে এক হৃদয়বিদারক ঘটনা। সুন্দরবনের করমজল খালে কাকড়া ও মাছ ধরতে এসেছিলেন সুব্রত নামের এক যুবক। এরপর হঠাৎ মুখোমুখি হন ভয়ংকর এক কুমিরের। এরপর যা ঘটেছে তাতে রীতিমত গা শিউরে উঠেছে অনেকেরই। মঙ্গলবার সকালে ঢাংমারী স্টেশন থেকে রাজস্ব জমা দিয়ে পাশ সংগ্রহ করে মাছ ধরতে সুন্দরবনে প্রবেশ করেন সুব্রত। বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে করমজল খাল পার হওয়ার সময় হঠাৎ কুমির তাঁকে ধরে টেনে নিয়ে
যায়। এসময় সঙ্গে থাকা অন্যান্য জেলেরা চেষ্টা করেও তাঁকে উদ্ধার করতে পারেননি। নিখোঁজের খবর পেয়ে বন বিভাগ ও অর্ধশতাধিক গ্রামবাসী নৌকা ও ট্রলার নিয়ে তল্লাশি শুরু করেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, বিকেল ৫টার দিকে খালে সুব্রতের মরদেহ ভেসে উঠেছিল। তবে সবচেয়ে হৃদয়বিদারক বিষয় হলো, কুমিরটি মরদেহটি মুখে ধরে নিয়ে অনেকক্ষণ ঘুরছিল এবং সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ছেড়ে চলে যায়। এরপর আর মরদেহটি আর পাওয়া যায়নি। অবশেষে রাত সাড়ে দশটার দিকে, প্রায় সাত ঘণ্টার চেষ্টা শেষে, গজালমারি এলাকায় পানির নিচ থেকে সুব্রতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, সুব্রত দীর্ঘদিন সুন্দরবনে মাছ ও কাঁকড়া ধরে সংসার চালাতেন। এমনকি তার স্ত্রী সন্তানসম্ভবা বলেও জানা গেছে। এ ঘটনায় পুরো এলাকা সতর্ক হয়ে উঠেছে, বিশেষ করে সুন্দরবনের ঝুঁকিপূর্ণ খাল ও নদীগুলোকে ঘিরে নিরাপত্তা আরও জোরদার করার প্রয়োজনীয়তা বেড়েছে। স্থানীয়দের সচেতন হওয়া জরুরি, যাতে ভবিষ্যতে এমন প্রাণঘাতী দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে। তবে বন বিভাগের নিয়মিত সতর্কবার্তা থাকা সত্ত্বেও, মানুষের জীবন ও জীবিকার কারণে ঝুঁকি এড়ানো সবসময় সম্ভব হয়ে ওঠে না। এমি/এটিএন বাংলা