
এটিএন বাংলা, ওয়াসা ভবন, ২য় তলা, ৯৮ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫, বাংলাদেশ
ফোনঃ +88-02-55011931
এ সম্পর্কিত আরও খবর
বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। দীর্ঘদিনের আর্থিক অনিয়ম, ঋণখেলাপি ও তারল্য সংকটে জর্জরিত পাঁচটি শরিয়াভিত্তিক ব্যাংককে অকার্যকর ঘোষণা করে তাদের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। একই সঙ্গে প্রতিটি ব্যাংকে প্রশাসক নিয়োগ দিয়ে সরকার নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেছে।
বুধবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, “অকার্যকর ব্যাংকগুলোর সব কার্যক্রম এখনসরকারের অধীনে আসছে। তবে ব্যাংকগুলো স্বাভাবিকভাবে তাদের গ্রাহকসেবা অব্যাহত রাখবে।”
অকার্যকর ঘোষিত ব্যাংকগুলো হলো, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক এবং সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক। গভর্নর আরও জানান, পাঁচ ব্যাংককে একীভূত করে গঠন করা হচ্ছে নতুন রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন
তিনি বলেন, “এই ব্যাংকগুলো কার্যতদেউলিয়া অবস্থায় পৌঁছে গিয়েছিল। মোট ১ লাখ ৯৩ হাজার কোটি টাকার ঋণের বিপরীতে ১ লাখ ৪৭ হাজার কোটি টাকা খেলাপি, অর্থাৎ প্রায় ৭৬ শতাংশ ঋণই অনাদায়ী।”
এক প্রশ্নের জবাবে গভর্নর বলেন, “এখন থেকে এসব ব্যাংকের আমানতকারীরা সম্পূর্ণ নিরাপদ। দুই লাখ টাকার নিচে আমানতকারীরা চলতি মাস থেকেই টাকা তুলতে পারবেন, অন্যদের জন্য পৃথক নির্দেশনা জারি করা হবে।” বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, এই পাঁচ ব্যাংকের মোট ৭৫০টি শাখা ও প্রায় ৭৫লাখ আমানতকারী রয়েছে। ব্যাংকগুলোর কার্যক্রম চালু থাকবে, চেক নিষ্পত্তি, এলসি, রেমিট্যান্সসহ সব সেবা আগেরমতোই চলবে। অন্যদিকে, শেয়ারহোল্ডারদের শেয়ারের মান শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে। গভর্নর মনসুর বলেন, “যেহেতু ব্যাংকগুলো ঋণাত্মক অবস্থায়, তাই তাদের শেয়ারের কোনো আর্থিক মূল্য নেই। এটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত পদ্ধতি।”
এমি