এটিএন বাংলা, ওয়াসা ভবন, ২য় তলা, ৯৮ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫, বাংলাদেশ
ফোনঃ +88-02-55011931
এ সম্পর্কিত আরও খবর
বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিন, যা অনন্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সমুদ্র সৈকত ও জীববৈচিত্র্যের জন্য পরিচিত। দেশ-বিদেশের হাজারো পর্যটক এই দ্বীপের প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করতে প্রতিনিয়ত ভিড় করেন। তবে অতিরিক্ত পর্যটন, পরিবেশ অবহেলা, প্লাস্টিক ও অন্যান্য বর্জ্য ব্যবহারের কারণে দ্বীপের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য আজ হুমকির মুখে। এই বাস্তবতা মাথায় রেখে সরকার সেন্ট মার্টিন রক্ষায় নতুন ১২টি নির্দেশনা জারি করেছে।২২ অক্টোবর পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের পরিবেশ-২ শাখা থেকে এই প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়েছে, মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়া কোনো নৌযান সেন্ট মার্টিনে চলাচল করতে পারবে না।নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, পর্যটকদের বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের স্বীকৃত ওয়েবপোর্টালের মাধ্যমে টিকিট কিনতে
হবে এবং প্রতিটি টিকিটে ট্রাভেল পাস ও কিউআর কোড থাকতে হবে। এগুলো ছাড়া টিকিট গ্রহণযোগ্য হবে না। এছাড়া নভেম্বর মাসে দ্বীপে রাত যাপন নিষিদ্ধ হলেও ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে তা সীমিতভাবে অনুমোদনযোগ্য হবে। দৈনিক পর্যটক সংখ্যা ২,০০০-এর বেশি হতে পারবে না এবং ফেব্রুয়ারি মাসে দ্বীপে পর্যটন পুরোপুরি বন্ধ থাকবে।আরও কিছু নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রয়েছে, সৈকতে রাতের আলো জ্বালানো, শব্দ সৃষ্টি, বারবিকিউ পার্টি, কেয়া বনে প্রবেশ, কেয়া ফল সংগ্রহ এবং দ্বীপের জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি করা। মোটরসাইকেল বা সি-বাইক চালানো নিষিদ্ধ এবং পলিথিন বহনের ওপরও জোর দেওয়া হয়েছে। একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক, যেমন চিপসের প্যাকেট, প্লাস্টিক চামচ, ছোট বোতল ইত্যাদির ব্যবহার নিরুৎসাহিত করা হয়েছে এবং নিজস্ব পানি সঙ্গে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।এই নির্দেশনার মূল লক্ষ্য হলো সেন্ট মার্টিন দ্বীপের প্রাকৃতিক পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, সচেতনতা বৃদ্ধি এবং টেকসই পর্যটন নিশ্চিত করা। সরকার ও পর্যটকরা যদি সম্মিলিতভাবে দায়িত্বশীল আচরণ করেন, তবে সেন্ট মার্টিন শুধু একটি পর্যটন কেন্দ্র নয়, বরং পরিবেশ সচেতনতার একটি উদাহরণ হিসেবে দেশবাসীর কাছে অনুকরণীয় হয়ে উঠবে।