
এটিএন বাংলা, ওয়াসা ভবন, ২য় তলা, ৯৮ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫, বাংলাদেশ
ফোনঃ +88-02-55011931
এ সম্পর্কিত আরও খবর
আজ ৭ নভেম্বর — জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস। বাংলাদেশের রাজনীতিতে দিনটি ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।
১৯৭৫ সালের এই দিনে সিপাহি–জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লব দেশের রাজনীতির গতিধারা পাল্টে দেয় এবং জাতিকে নতুন রাজনৈতিক পরিচয়ে অভিষিক্ত করে।
১৫ আগস্টের পর ধারাবাহিক সেনা অভ্যুত্থান ও পাল্টা অভ্যুত্থানের মধ্যে যখন দেশ চরম নৈরাজ্যের মুখে, তখন ৭ নভেম্বরের সিপাহি–জনতার ঐক্যের বিপ্লব দেশকে অনিশ্চয়তা থেকে মুক্তি দেয়। এ সময় বন্দিদশা থেকে মুক্ত হন স্বাধীনতার ঘোষক ও তৎকালীন সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান।
বিএনপিসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো দিনটিকে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।
এ উপলক্ষে বিএনপি ১০ দিনের কর্মসূচি নিয়েছে।
আজ সকালে নয়াপল্টনে দলীয়
পরবর্তী দিনগুলোতে বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করবে —
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দিবসটি উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন।
তারা বলেছেন, “৭ নভেম্বর সিপাহি-জনতার বিপ্লব দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের ভিত্তি স্থাপন করেছিল।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই পটপরিবর্তনের মধ্য দিয়েই রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে দেশে গণতন্ত্রের নতুন যাত্রা শুরু হয় এবং বহুদলীয় রাজনীতির পুনর্জন্ম ঘটে।
সাবেক সেনাপ্রধান লে. জেনারেল মাহবুবুর রহমান তাঁর বই ‘কিছু স্মৃতি কিছু কথা’–তে লিখেছেন,
“৭ নভেম্বর সৈনিক-জনতার স্বতঃস্ফূর্ত উত্থান ঘটে। জেনারেল জিয়া সেই অভ্যুত্থানের তরঙ্গে ভেসে জাতীয় নেতৃত্বে উঠে আসেন।”
তদানীন্তন দৈনিক বাংলা–র প্রতিবেদনে বলা হয়,
“সিপাহি ও জনতার মিলিত বিপ্লবে ৪ দিনের দুঃস্বপ্নের অবসান ঘটে। বন্দিদশা থেকে মুক্ত হন মেজর জেনারেল জিয়া। রেডিওতে প্রচারিত হয় ঐতিহাসিক বার্তা— ‘আমি মেজর জেনারেল জিয়া বলছি।’”
দিবসটি উপলক্ষে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান দলটির সব শাখা ও নেতাকর্মীদের কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানিয়েছেন।
এছাড়া লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), ১২ দলীয় জোটসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোও আলোচনা সভা ও র্যালির কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
/এমআর