
নিজস্ব প্রতিবেদক : জামায়াত নেতা আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ ও বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় উল্লসিত সারা দেশ।
রায় কার্যকর হওয়ার পরই যেন উল্লাসের নগরীতে পরিণত হয় ঢাকা। বের হয় আনন্দ মিছিল। হয় মিষ্টি বিতরণ। এদিকে, এই রায় কার্যকর হ্ওয়াকে জনগণের বিজয় হিসেবে দেখছে গণজাগরণ মঞ্চ।
শনিবার দিন থেকে রাত। ঢাকার শাহবাগের রাজপথে গণজাগরন মঞ্চের এমন প্রতীক্ষা। কখন কার্যকর হবে যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী আর আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসির রায়।
অপেক্ষা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়। কারণ, সবাইকে চমকে দিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিক্ষার আবেদন করেন সাকা-মুজাহিদ। তাই কখনও অজানা আশংকা, কখনবা জয়ের আনন্দে উত্তাল সমাবেশ।
শেষ পর্যন্ত মধ্যরাতে এলো সেই ক্ষণ। খবর এলো, কার্যকর হয়ে গেছে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী আর আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসির দণ্ড।
তারপরের ছবি- এমন বাধভাঙ্গা উল্লাসের। জাতীয় পতাকা হাতে যুদ্ধাপরাধীর বিচার সম্পূর্ণ করার উদযাপনের। ইতিহাসের দায় শোধের পথে স্বস্তির।
উত্তেজনা তখন কিছু থিতিয়ে এসেছে। ভর করেছে ক্লান্তি। তারপরও থেমে যায়নি উদযাপন। জাতীয় সঙ্গীতে এমন কন্ঠ মিলিয়েই চলছিল আনন্দের বহিপ্রকাশ।
শুধু শাহবাগ নয়; রাজধানী জুড়েই যেন শোনা যাচ্ছিল এমন উল্লাসের আনন্দ চিৎকার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন ছবি যেন তার কথাই বলছে।
এদিকে, দুই রাজাকারের ফাঁসি হওয়ায় রোববার বিজয় র্যালি বের করবে গণজাগরণ মঞ্চ।
এ ফাঁসির রায় কর্যকর হওয়াকে বিরাট বিজয় বলে জানিয়েছে গণজাগরণ মঞ্চ। শনিবার রাতে ফাঁসি কার্যকরের পর রাজধানীর শাহবাগে আনন্দ-উল্লাসে ফেটে পড়েন গণজাগরণ মঞ্চের সদস্যরা।
এদিকে কুখ্যাত দুই রাজাকারের মৃত্যুদন্ড কার্যকরে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন শহীদ পরিবারের সন্তানেরা। আর দন্ড কার্যকরের আগ মুহুর্তে রাষ্ট্রপ্রতির কাছে প্রাণ ভিক্ষার আবেদনের মাধ্যমে বাংলাদেশের মাটিতে তারা যে যুদ্ধাপরাধ করেছে তাও স্বীকার করে নিল বলে মনে করেন তারা।
যুদ্ধাপরাধী আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসিতে আনন্দিত ফরিদপুরের মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষ। এ ফাঁসির রায়ের মধ্য দিয়ে ফরিদপুরবাসী কলঙ্কমুক্ত হয়েছেন বলে মনে করছেন তারা।
অপরদিকে দ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসি কার্যকরের খবরে চট্টগ্রামের রাউজানে আনন্দ মিছিল করেছেন মুক্তিযোদ্ধাসহ সাধারণ মানুষ।
শনিবার রাতে ফাঁসি কার্যকরের খবরে উল্লাসে ফেটে পড়েন তারা। একে অন্যকে মিষ্টিমুখ করান। এ ফাঁসি কার্যকরের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম কলঙ্কমুক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামবাসী। শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির রায় কার্যকর হওয়ায় বাংলাদেশের ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন তারা।