জোড়া অ্যাসিস্টে মেসির রেকর্ড

জোড়া অ্যাসিস্টে মেসির রেকর্ড
পুরোদস্তুর প্লেমেকার বনে গেছেন লিওনেল মেসি। গোল করার চেয়ে বানিয়ে দেয়াতেই যেন বেশি মনোযোগ পিএসজির আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের।

ফরাসি লিগ ওয়ানের নতুন মৌসুমে ৬ ম্যাচে ৩ গোল করেছেন মেসি। অ্যাসিস্ট করেছেন ৬ গোলে। সবশেষ ম্যাচে দু’টি অ্যাসিস্ট করেছেন তিনি। সাতবারের বর্ষসেরার বানিয়ে দেয়া বল থেকে দু’বার লক্ষ্যভেদ করেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। শনিবার রাতে লিগ ওয়ানের ম্যাচে মেসি-এমবাপ্পের নৈপুণ্যে নঁতেকে ৩-০ গোলে হারায় পিএসজি।

জোড়া অ্যাসিস্টে একটি রেকর্ড গড়েছেন লিওনেল মেসি। লিগ ওয়ানে ৩২ ম্যাচে ২০টি অ্যাসিস্ট তার। ২০০৬-০৭ মৌসুম থেকে লিগ ওয়ানের পরিসংখ্যানের হালনাগাদ রাখা অপ্টা জো’র তথ্য মতে, দ্রুততম ২০ অ্যাসিস্টের রেকর্ডে দ্বিতীয় মেসি। ৩১ ম্যাচে ২০ অ্যাসিস্ট করে রেকর্ডটির শীর্ষে পিএসজির সাবেক মিডফিল্ডার অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া।

মেসির কীর্তি ছোঁয়ার রাতে রেকর্ড হয়েছে পিএসজিরও।

নতুন মৌসুমের প্রথম ৬ ম্যাচে ২৪ গোল লা প্যারিসিয়ানদের। ইউরোপিয়ান শীর্ষ পাঁচ লীগের মধ্যে তৃতীয় দল হিসেবে মৌসুমের প্রথম ছয় ম্যাচে ২৪ গোলের রেকর্ড গড়েছে পিএসজি। ২০১৯-২০ মৌসুমে প্রিমিয়ার লীগের ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটি এই রেকর্ড গড়েছিল। এরপর ২০২০-২১ মৌসুমে সিটির রেকর্ডে ভাগ বসায় জার্মান বুন্দেসলিগার ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখ।

শনিবার রাতে নঁতের মাঠে গোটা ম্যাচে ছিল পিএসজির আধিপত্য। ৬০ শতাংশ বল দখলে রেখে প্রতিপক্ষের গোলবারের উদ্দেশ্যে মোট ১৯টি শট নেয় লা প্যারিসিয়ানরা। যার মধ্যে লক্ষ্যে ছিল ৭টি। অপরদিকে ৪০ শতাংশ বল দখলে রাখা নঁতে ১০টি শটের মাত্র ১টি রাখতে পারে লক্ষ্যে।

১৮তম মিনিটে কিলিয়ান এমবাপ্পের গোলে এগিয়ে যায় পিএসজি। ২৪তম মিনিটে দশ জনের দলে পরিণত হয় নঁতে। লাল কার্ড থেকে মাঠ ছাড়েন ব্রাজিলিয়ান ফুলব্যাক ফ্যাবিও।  বিরতি থেকে ফেরার ৪ মিনিটের মধ্যে স্কোরলাইন ২-০ করেন এমবাপ্পে। এই মৌসুমে পিএসজির হয়ে লিগে ৫ ম্যাচে ৭ গোল হলো ফরাসি তারকার। ৬ ম্যাচ খেলে নেইমারের গোল সংখ্যাও ৭। লিগ ওয়ানে সর্বোচ্চ গোলদাতা এখন পর্যন্ত এই দুজন।
৬৮তম মিনিটে স্কোরলাইন ৩-০ করেন নুনো মেন্দেজ।

৬ ম্যাচে ৫ জয় ও ১ ড্রয়ে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে লিগ ওয়ান টেবিলের শীর্ষে পিএসজি। দুইয়ে থাকা অলিম্পিক মার্শেইয়ের পয়েন্টও ১৬। গোল সংখ্যায় এগিয়ে পিএসজি। ৬ ম্যাচে ১ জয় ৩ ড্র ও ২ হারে দশম স্থানে নঁতে।