সুষ্ঠু নির্বাচনে প্রয়োজনীয় সব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে’

সুষ্ঠু নির্বাচনে প্রয়োজনীয় সব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে’

অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় সব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার রাশিদা সুলতানা।

সোমবার (১৭ জুলাই) ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে রাজধানীর বনানী বিদ্যানিকেতন কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ কথা জানান।

এর আগে, সকাল ৮টায় শুরু হয় ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনসহ দেশের স্থানীয় সরকারের ৭৮টি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ; যা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

ইসির তথ্যানুযায়ী, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড নং ১৫, ১৮, ১৯, ২০ এবং ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এলাকা নিয়ে ঢাকা-১৭ আসন গঠিত। এ উপনির্বাচনে সাধারণ কেন্দ্রে ১৯ জন এবং ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র পাহারায় ২১ জনের পুলিশ ও আনসারের সমন্বয়ে ফোর্স নিয়োজিত রয়েছে। তারা দায়িত্ব পালন করবে ভোটের পরের দিন পর্যন্ত। তবে, অঙ্গীভূত আনসার পাঁচ দিনের জন্য নিয়োজিত থাকবে। এছাড়া, পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের ১৫টি, র‌্যাবের ৬টি টিম ও ১০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিত করার জন্য নিয়োগ করা হয়েছে ২৫ জন নির্বাহী ও ৫ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট।

ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে ৩ লাখ ২৫ হাজার ২০৫ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭১ হাজার ৬২৫ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৮০ জন।

এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীরা হলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী আরাফাত (নৌকা প্রতীক নিয়ে), জাতীয় পার্টির (লাঙল) সিকদার আনিসুর রহমান, স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম উরফে হিরো আলম (একতারা), জাকের পার্টির কাজী রশিদুল হাসান (গোলাপ), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের আক্তার হোসেন (ছড়ি), স্বতন্ত্র প্রার্থী তরিকুল ইসলাম ভূঁইয়া (ট্রাক), বাংলাদেশ কংগ্রেসের রেজাউল করিম স্বপন (ডাব) এবং তৃণমূল বিএনপির শেখ হাবিবুর রহমান (সোনালি আঁশ)।

অন্যদিকে, একই সময়ে সারাদেশে ৭৮টি স্থানীয় সরকারের নির্বাচন শুরু হয়। এর মধ্যে সাধারণ নির্বাচন বা সব পদে নির্বাচন হবে ৩৯টিতে। এর মধ্যে সাধারণ নির্বাচন হবে সাতটি পৌরসভায়। সাত পৌরসভার সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।