সিলেটে এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ মামলায় আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন তিন আসামি রনি, রাজন এবং আইনুল। এর আগে, দুপুরে কড়া নিরাপত্তায় তাদের আদালতে নেয়া হয়। পরে সিলেটের মহানগর মাজিস্ট্রেট জিহাদুর রহমান, সাইফুর রহমান ও শারমীন খানম নীলার আদালতে তোলা হয় আসামিদের। এর আগে, মামলার প্রধান আসামি সাইফুরসহ তিনজন ধর্ষণের দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। মামলায় এ পর্যন্ত আট আসামিকে গ্রেফতার করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। মামলার অপর দুই আসামি মাহফুজ ও রবিউলকে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে আবার তাদের শাহ পরান থানা হাজতে ফিরে আনা হয়। এদিকে, গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন এমসি কলেজের শিার্থীরা। ছাত্রাবাসের সামনে ঘন্টাব্যাপী এই কর্মসূচীতে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ অংশ নেন।
এদিকে সারাদেশে ধর্ষণ কেন বেড়েছে – সে বিষয়গুলো খুঁজে বের করে সরকার দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। সাভারে বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিণ কেন্দ্রে তৃতীয় পলিসি ডায়লগ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ডক্টর আহমদ কায়কাউসসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ১৫ জন সিনিয়র সচিব এতে অংশ নেন।