
এটিএন বাংলা ডেস্ক:
১৯৩ জনকে জঙ্গি সন্দেহে গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে শেষ হলো পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান। টার্গেট কিলিং বন্ধেই এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে বলে দাবি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের। যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা সবাই ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি বলেও জানান মন্ত্রী।
দেশে চলমান গুপ্তহত্যা বা টার্গেট কিলিং বন্ধে দেশব্যাপী সপ্তাহব্যাপী সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করেছে পুলিশ। গত ৫ জুন চট্টগ্রামের পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। এরপরই এই অভিযানে নামে পুলিশ। সারা দেশে গেল দেড় বছরে এ ধরণের হত্যার শিকার হয়েছেন ভিন্ন চিন্তার ভিন্ন মতাদর্শের অন্তত অর্ধশত ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে শুরু হওয়া চলমান এই অভিযানের প্রথম চারদিনেই ১২ হাজারেরও বেশি ব্যাক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চলমান এই অভিযানে সারা দেশে জঙ্গি সন্দেহে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১৯৩ জনকে। এর মধ্যে জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) ১৫১ জন, জাগ্রত মুসলিম জনতা বাংলাদেশে সাতজন, হিযবুত তাহরিরের ২১ জন, আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) ছয়জন, আনসার আল ইসলামের তিনজন, আল্লাহর দলের চারজন, হরকাতুল জিহাদের একজন সদস্য রয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন, এই অভিযানের মাধ্যমে টার্গেট কিলিং অনেকটা কমে আসবে।
যদিও এই অভিযানে অন্তত ১৫ হাজারেরও বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাই মানবাধিকার কর্মীরা এ অভিযান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।