
সরকারিভাবে বিভিন্ন দেশ থেকে ১০ লাখ ৩০ হাজার টন চাল ও গম কেনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে বোরো সংগ্রহ অভিযান ও চলমান খাদ্যবান্ধব এবং ওএমএস কর্মসূচিসহ সামগ্রিক খাদ্য পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, আমরা রাশিয়া থেকে ৫ লাখ মেট্রিকটন গম এবং ভারত থেকে এক লাখ টন চাল, ভিয়েতনাম থেকে ২ লাখ ৩০ হাজার টন এবং মায়ানমার থেকে ২ লাখ টন চাল আমদানি করবো। এ মুহূর্তে সর্বোচ্চ মজুদ আছে আমাদের।
তিনি বলেন, সরকারিভাবে আমরা আরও চাল কিনবো। এ অর্থবছরে ১০ লাখ টনের বেশি চাল আমদানির চিন্তাভাবনা রয়েছে। এবছর জলবায়ু পরিস্থিতি খারাপ, ফলে আমন সংগ্রহ কম হতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। তবে আমাদের গম নিয়ে যে সংকট ছিল সেটা কেটে গেছে। আমাদের বছরে ৭ লাখ টন গমের চাহিদা রয়েছে। এরমধ্যে রাশিয়া থেকে ৫ লাখ টন আসবে, পাইপ লাইনে রয়েছে এক লাখ টন এবং গুদামে মজুদ আছে এক লাখ ৩০ হাজার টন গম।
ওএমএস, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালু করার কারণে দেশের বাজারে এখন চালের দাম নিম্নমুখী বলেও দাবি করেন তিনি।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, বাজার স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত খোলা বাজারে চাল বিক্রির কার্যক্রম চলমান থাকবে। এ ছাড়া সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিও সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর এবং মার্চ ও এপ্রিলে চালু রাখা হবে।
‘চালের দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হবে’ বাণিজ্যমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ট্যারিফ কমিশন আলাপ-আলোচনা করে যদি মনে করে আমরা এটি বাস্তবায়নের চেষ্টা করব।’