
রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে পক্ষে ও বিপক্ষে ভিন্ন ভিন্ন অভিমত থাকায় এই ইস্যু নিয়ে এটিএন বাংলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ২৬ আগষ্ট, শুক্রবার সকালে প্রচারিত হবে ইউসিবি পাবলিক পার্লামেন্ট। ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র আয়োজনে এই মক পার্লামেন্টে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোঃ তাজুল ইসলাম, এমপি এবং তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণের সঞ্চালনা ও পরিচালনায় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি ও প্রাইমএশিয়া ইউনিভার্সিটি।
মোঃ তাজুল ইসলাম, এমপি অনুষ্ঠানের অন্য অতিথি অধ্যাপক আনু মোহাম্মদকে চ্যালেঞ্জ করে বলেন ইউনেস্কোসহ কোন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান এ পর্যন্ত রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের বিরোধীতা করে তথ্যসমৃদ্ধ কোন প্রতিবেদন বাংলাদেশ সরকারের নিকট দাখিল করে নি। তিনি বলেন, স্থানীয়ভাবে শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থানের বিষয়টি বিবেচনায় রেখেই রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে এবং এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের ফলে পানি দূষণের ঝুকিও সর্বনিম্ন পর্যায়ে। যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, চায়না ও জাপানে ব্যাপকভাবে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। তিনি উল্লেখ করেন, পরিবেশ সুরক্ষা বিবেচনা করে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র চুক্তি করা হয়েছে। তিনি অধ্যাপক আনু মোহাম্মদসহ রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের বিরোধীতাকারী সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদেরকে সংসদীয় কমিটিতে এ বিষয়ে আলোচনার আমন্ত্রণ জানাবেন বলে উল্লেখ করেন।
অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ বলেন, রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হলে সুন্দরবনের অস্তিত্ব বিলুপ্ত হবে। চারকোটি মানুষের জীবন-জীবিকা বিপন্ন ও হুমকির মধ্যে পড়বে। তিনি সুন্দরবনকে মহাপ্রাণ উল্লেখ করে এর জীববৈচিত্র্য রক্ষায় রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ থেকে বিরত থেকে অন্যত্র স্থানান্তরের আহবান জানান। তিনি বলেন সুন্দরবনের বিনিময়ে কোন কিছুই গ্রহণযোগ্য নয়। সরকারের মধ্যেও অনেকে আছেন যারা রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করাকে সমর্থন করেন না। রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ স্থগিত রাখার বিষয়ে ভারত সরকারের সাথে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার প্রস্তাব দেন । সুন্দরবনকে ঝুকির মধ্যে রেখে কোন উন্নয়ন প্রকল্পই গ্রহণযোগ্য হবে না। তিনি আরো বলেন, রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হলে আশে-পাশের মৎস্যজীবি, বনজীবিসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার চার কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।