
বিপিএলের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে শাহরিয়ার নাফিস এবং সাব্বিরের ব্যাটে সাকিবের রংপুর রাইডার্সে ৫ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে বরিশাল বুলস। রংপুরের দেয়া ১৬১ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ১৯ ওভার তিন বলে ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষে পৌঁছে যায় বরিশাল।
গেইলের অনুপস্থিতে দলে অনেকদিন পর খেলতে নামা বরিশালের লোকাল হিরো শাহরিয়ার নাফিস করেন ৪২ রান। তবে সর্বোচ্চ রান আসে সাব্বির রহমানের ব্যাট থেকে। তিনি করেন ৪৯ বল ৭৯ রান। মূলত এই দুজনার ব্যাটের উপর ভর করেই জয় পায় বরিশাল
১৬১ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা মোটেও ভাল হয়নি বরিশালের। দ্বিতীয় ওভারেই মাত্র তিন রানের মাথায় আরাফাত সানির বলে পেরেরার হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন দুই রান করা রনি তালুকদার। অপর ওপেনার প্রসান্নেও বেশীক্ষণ টিকতে পারেননি। দলীয় ১০ রানে সাত রান করা প্রসান্নেকে বিদায় করেন সাকিব।
এর পরই সাব্বির আর শাহরিয়ার নাফিসের ব্যাটিং। দুজনে মিলে গলে তোলেন ১২৪ রানের পার্টনারশিপ। মূলত এই পার্টনারশিপও রংপুরের বিদায় নিশ্চিত হয়।
১৩৪ রানের মাথায় এই জুটি ভাঙে রান আউটের মাধ্যমে। সাব্বিরের সাথে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে শাহরিয়ার নাফিস ফেরেন ৪২ রান করে। এর পর ১৪১ রানের মাথায় পেরেরার বলে স্যামির দুর্দান্ত ক্যাচে বিদায় নেন সাব্বির। যাবার আগে করেন মাত্র ৪৯ বলে তিনটি ছয় এবং সাতটি চারের সাহায্যে ৭৯ রান।
এর পর যাখন ৯ বলে ১৪ রান দরকার এমন সময় মাহমুদুল্লাহকে আউট হলে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন স্যামি। কিন্তু পরের বলে ছক্কা হাকিয়ে বরিশালকে জয়ের কাছে নিয়ে যান ইমরিট। ষষ্ট বলটি ডট হলে শেষ ওভারে বরিশালের দরকার পরে ৮ রান।
কিন্তু পেরোরর প্রথম বলেই ৪ মেরে হিসাবটা সহজ করে দেন কুপার। দ্বিতীয় বলে দুই আর তৃতীয় বলে ছক্কা হাকিয়ে বুলসকে ফাইনালে নিয়ে যান কুপার।
এর আগে মিরপুরে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে রংপুরকে দারুণ সূচনা এনে দেন আবদুল্লাহ আল মামুন ও লেন্ডন সিমন্স। দুজন উদ্বোধনী জুটিতে যোগ করেন ৫২ রান। প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ব্যক্তিগত ২০ রানে আউট হন আবদুল্লাহ আল মামুন। এরপর সৌম্য সরকার দ্রুত বিদায় নেন। তিনি করেন ৬ রান।
সাকিব আল হাসানও বেশিক্ষণ উইকেটে থাকতে পারেননি। ১৩ রান করে আউট হন তিনি। তবে একপ্রান্ত আগলে ইনিংসকে টেনে নিয়ে যান সিমন্স। তিনি করেন ৭৩ রান।
শেষ দিকে ড্যারেন স্যামির ২৩ রানের সুবাদে ৯ উইকেটে ১৬০ রান করে রংপুর। তবে রংপুরের ইনিংস আরও বড় হতে পারত। কিন্তু হতে দেননি কুপার। শেষ দিকের ব্যাটসম্যানদের দ্রুত তুলে নেন তিনি। শেষে পর্যন্ত ৩৯ রানে নেন ৪ উইকেট।
এই ম্যাচে খেলননি বরিশালের ক্রিস গেইল। বিগব্যাশে খেলতে শনিবার ঢাকা ছাড়েন তিনি। বিগ ব্যাশের সাথে চুক্তি থাকায় এ ম্যাচ না খেলেই চলে যান তিনি। দর্শকরা ফাইনালে গেইলকে অবশ্যই মিস করবে।
আগামী মঙ্গলবার ফাইনালে মাশরাফির কুমিল্লার মুখোমুখি হবে বিপিএলে প্রথম আসলের রানার্সআপ বরিশাল। এই রংপুরকেই প্রথম কোয়ালিফায়ারে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছে কুমিল্লা।