
চীনা পৃষ্ঠপোষকতায় ইরান, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমান একটি যৌথ নৌবাহিনী গঠন করবে বলে খবর পাওয়া গেছে। পারস্য উপসাগরের নিরাপত্তা শক্তিশালী করার লক্ষ্যে এ বাহিনী গঠন করা হবে।
আল-জাদিদ এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীন এরইমধ্যে তেহরান, রিয়াদ ও আবুধাবির সঙ্গে আলোচনা শুরু করে দিয়েছে। এর আগে গত মার্চ মাসে তেহরান ও রিয়াদের সম্পর্কে টানাপড়েনের অবসান ঘটিয়ে তাদের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনে ভূমিকা রাখে বেইজিং।
পর্যবেক্ষকদের মতে, এই ধরনের স্পর্শকাতর বিষয়ে পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলো বেইজিংয়ের মধ্যস্থতা মেনে নিতে যে সম্মতি দিয়েছে তার ফলে প্রমাণিত হয় ওয়াশিংটনের ক্ষয়প্রাপ্ত প্রভাবের বিপরীতে এই অঞ্চলে চীনের প্রভাব দিন দিন বাড়ছে।
১৯৭৯ সালে ইরানে বিপ্লব হওয়ার পর থেকে তেহরান পারস্য উপসাগর থেকে বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে এসেছে। ইরান আরো বলেছে, আঞ্চলিক যেকোনো সমস্যার সমাধান আঞ্চলিক দেশগুলোকেই করতে হবে। কোনো বহিঃশক্তি এখানকার সমস্যার সমাধান করতে পারবে না।