মেসির বার্সেলোনা অধ্যায় ফুরিয়ে যায়নি : লাপোর্তা

মেসির বার্সেলোনা অধ্যায় ফুরিয়ে যায়নি : লাপোর্তা
মেসি মানেই বার্সেলোনা, আর বার্সেলোনা মানেই মেসি’- সমর্থকদের এমন চিন্তার ইতি ঘটেছে গত মৌসুমের ট্রান্সফার উইন্ডোয়। স্প্যানিশ লা লিগার বেতন কাঠামোর অজুহাতে ইতিহাসের অন্যতম সেরা তারকাকে ছেড়ে দিয়েছে ব্লাউগ্রানারা। নেইমার-এমবাপ্পেদের সঙ্গে পিএসজিতে এক মৌসুম কাটানো মেসি কি ফিরবেন বার্সায়? কাতালান ক্লাবটির সভাপতি হুয়ান লাপোর্তা মনে করেন, মেসির বার্সেলোনা অধ্যায় ফুরিয়ে যায়নি।

করোনার কারণে আর্থিক দুর্দশার মুখোমুখি হয় বার্সেলোনা। এরপর লা লিগার বেতন কাঠামোর জটিলতায় মেসিকে বিদায় জানায় ক্লাবটি। মেসি অবশ্য অর্ধেক বেতনেও ন্যু-ক্যাম্পে থাকতে চেয়েছিলেন। সম্ভব হয়নি, গত ৫ই আগস্ট ২১ বছরের সম্পর্কের ইতি টেনে অশ্রুসজল নয়নে বিদায় নেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার।

এক সাক্ষাৎকারে লাপোর্তা বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি না, মেসির বার্সেলোনা অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটেছে। আমি বিশ্বাস করি, এটা আমাদের দায়িত্ব যাতে এ অধ্যায় (মেসিকে ফের বার্সায় ভেড়ানো) সবসময় খোলা থাকে। যেভাবে শেষ হয়েছে বলে মনে হচ্ছে, তার চেয়ে যেন ভালো হয়।’
কিংবদন্তি জোহান ক্রুইফের সঙ্গে মেসিকে তুলনা করে লাপোর্তা বলেন, ‘মেসি বার্সার জন্য সব কিছু করেছে। সে ইতিহাসের সেরা হয়ে গেছে। তার তুলনা কেবল জোহান ক্রুইফের সঙ্গেই হয়।’

লাপোর্তার দাবি, আর্থিক দুর্দশার কারণেই মেসিকে ছাড়তে বাধ্য হয়েছে বার্সেলোনা, ‘যেমন আর্থিক পরিস্থিতিতে ক্লাবের দায়িত্বে এসেছিলাম, এমন কিছু একটা হতোই।

তবে কোচ ও খেলোয়াড়দের চেয়ে ক্লাবের অবস্থান অনেক উপরে।’
লাপোর্তা বলেন, ‘বার্সা সভাপতি হিসেবে আমার মনে হয় ক্লাবের যা প্রয়োজন ছিল, তাই আমি করেছি। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে এবং একজন সভাপতি হিসেবে আমার মনে হয়, তার কাছে আমি ঋণী।’

লাপোর্তা সম্ভাবনার কথা বললেও কি ফিরবেন মেসি? কেননা তার পিএসজিতে যোগদান ও প্রত্যাবর্তন নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করায় বার্সা সভাপতির ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার।
গত মে মাসে এক সাক্ষাৎকারে লাপোর্তা জানিয়েছিলেন, পিএসজিতে টাকার জন্যই চুক্তিবদ্ধ হয় খেলোয়াড়রা। এবং তারা দাসত্ব বরণ করে নেয়। লাপোর্তা জানান, মেসি ফ্রি এজেন্ট হয়ে বার্সায় ফিরতে চান।

এর প্রতিক্রিয়ায় মেসি বলেছিলেন, ‘আমাকে কেউ ফ্রি খেলার জন্য বলেনি। কিন্তু একই সময়ে আমাকে নিয়ে প্রেসিডেন্টের (লাপোর্তা) বলা কথাগুলো শোভনীয় নয়। তারা আমাকে আঘাত করেছে। এসব বলার কোনো মানে হয় না।’