
মেট্রোরেলে ঢিল ছোঁড়ার ঘটনায় মামলা করেছেন মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। মেট্রোরেল আইন-২০১৫ এর ৩৫ ও ৪৩ ধারাসহ দণ্ডবিধি ৪২৭ ধারায় রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা করেছেন কর্তৃপক্ষ। মেট্রোরেলের প্রায় ১০ লাখ টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।মামলায় উল্লিখিত ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি, পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা ৫০ লাখ টাকার জরিমানা আর সর্বনিম্ন শাস্তি হচ্ছে দুই বছরের কারাদণ্ড।
মেট্রোরেল আইন ২০১৫ এর ৪৩ ধারাতে বলা হয়েছে, ‘কোনো ব্যক্তি যদি এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ সংঘটনে সহায়তা করেন বা উক্ত অপরাধ সংঘটনে প্ররোচনা দেন বা ষড়যন্ত্র করেন এবং উক্ত ষড়যন্ত্র বা প্ররোচনার ফলে সংশ্লিষ্ট অপরাধটি সংঘটিত হয়, তাহলে উক্ত সহায়তাকারী, ষড়যন্ত্রকারী বা প্ররোচনাদানকারী উক্ত অপরাধের জন্য নির্ধারিত দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।’
অপরদিকে ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধি আইনের ৪২৭ ধারায় বলা হয়েছে, ‘কোনো ব্যক্তি যদি ক্ষতি সাধন করে এবং তদ্বারা ৫০ টাকা বা তদূর্ধ্ব পরিমাণ অর্থের অনিষ্ট করে, তবে উক্ত ব্যক্তি দুই বছর পর্যন্ত যেকোনো মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ড বা অর্থ দণ্ড অথবা উভয়বিধ দণ্ডেই দণ্ডিত হবে।’
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল্লাহ আবু বলেন, ‘যারা মেট্রোরেলে ঢিল নিক্ষেপ করেছেন তারা দেশ ও জনগণের শক্র। তারা দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য এমন কাজ করেছে। তাদের আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা উচিত, যাতে আর কেউও সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি সাধন করতে না পারে। যারা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের যেন সর্বোচ্চ শাস্তি হয় সেদিকে আমরা রাষ্ট্রপক্ষ নজর রাখব।’
উল্লেখ্য, মেট্রোরেলের একটি কোচ আগারগাঁও থেকে উত্তরা-উত্তর স্টেশনে যাওয়ার পথে রাজধানীর কাজীপাড়া ও শেওড়াপাড়ার মধ্যবর্তী স্থানে গত রোববার (৩০ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢিল ছোঁড়ার ঘটনা ঘটে। ঢিলটি মেট্রোরেলের জানালায় আঘাত হানে। ঘটনাস্থলের পাশে বহুতল ভবন রয়েছে। কোনো দুর্বৃত্ত পূর্বপাশের কোনো ভবন বা ছাদ থেকে ঢিল ছুড়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।