
নিজস্ব প্রতিবেদক :
মূল্যস্ফীতি নিয়ে স্বস্তি, বিনিয়োগ না বাড়ায় হতাশা। আক্ষেপ সরকারি টাকার অপব্যয়ে আর বিদেশি সাহায্যের সঠিক ব্যবহার না হওয়ায়। তবে সামগ্রিক অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে এই তৃপ্তির ঢেকুর তুলে বাজেটে অর্থমন্ত্রী দেখালেন বেশ কিছু স্বপ্নও।
এবারের বাজেটের আগে অর্থমন্ত্রীর সবচেয়ে বড় স্বস্তির কারণ বিশ্ব বাজারে জ্বালানী তেলের দাম। যেভাবে তেলের দাম কমছে তাতে জিনিসপত্রের দাম হুহু করে বেড়ে যাবার প্রধান কারণ নাই। আর এতেই নিয়ন্ত্রণে থাকবে মূল্যস্ফীতি। অর্থমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্য অনুযায়ী রমজানে দাম বাড়ার হিড়িক সত্ত্বেও মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ২ পার হবে না। আর আগামী অর্থবছরে সেটা আরও কমে ৫ দশমিক ৮ নামাবে।
হতাশার জায়গায় মুখ্য বিষয় বিনিয়োগ। অর্থমন্ত্রীর ভাষায়, যা হচ্ছে তা যথেষ্ট না। সক্ষমতার ঘাটতির জন্য উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন হয়না ঠিকমতো। বিদেশি সাহায্যও কাজে লাগানো যায়না পুরোটা। অর্থবছরের শেষভাগে প্রকল্প শেষ করার তাড়াহুড়োয় নষ্ট হয় সরকারি টাকা।
বিদ্যুৎ খাতে উৎপাদন নিয়ে সন্তুষ্ট অর্থমন্ত্রী বলছেন, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছুচ্ছে না এটাই কষ্টের কারণ। সঞ্চালনজনিত দুর্বলতাকেই এর কারণ মনে করেন মন্ত্রী।
নানা ঘাটতির মধ্যেও অর্থমন্ত্রী তৃপ্তির ঢেকুর তুলছেন জিডিপির প্রবৃদ্ধি নিয়েই। বলছেন উদীয়মান দেশগুলোর তুলনায় পিছিয়ে নেই বাংলাদেশ। আর তাই এবার একটি স্বপ্নও দেখতে চান ৮৩ বছর বয়সী এই মন্ত্রী। সেই স্বপ্ন ঢাকার বুকে ১৪২ তলা ভবনের।
শুধু অবকাঠামো নির্মাণ না, সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্নও দেখাচ্ছে অর্থমন্ত্রী। নানা খাতে সেভাবে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে চান তিনি। থাকছে সব ধরণের চাকুরীজীবীদের জন্য পেনশনের গল্পও।