বয়স যেন তাঁর উল্টো দিকে বাড়ছে

বয়স যেন তাঁর উল্টো দিকে বাড়ছে
১৯৮৩ সালে ‘ওহ ৭ দিন’ সিনেমা দিয়ে বলিউডে নায়ক হয়ে আসেন অনিল কাপুর। শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন।

বয়স বাড়লেও তাঁকে দেখে বোঝার উপায় নেই। বয়স যেন তাঁর উল্টো দিকে বাড়ছে! ২৪ জুন মুক্তি পেয়েছে অনিল কাপুর অভিনীত নতুন সিনেমা ‘যুগ যুগ জিও’। বরুণ ধাওয়ানের বাবার চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসিত হচ্ছেন অনিল।

সিনেমা মুক্তির আগে কি এখনো আগের মতোই দুশ্চিন্তা হয় অনিল কাপুরের? তিনি বলেন, ‘কোন সিনেমা, পরিচালক আর প্রযোজক কারা—এসবের ওপর নির্ভর করে। যুগ যুগ জিও সিনেমাটি নিয়ে আমি শান্তই আছি। শুটিংয়ের প্রথম থেকে মুক্তি পর্যন্ত পুরোটাই মসৃণ ছিল।’

নীতুর সঙ্গে প্রথম
‘যুগ যুগ জিও’ সিনেমায় এই প্রথম নীতু কাপুরের সঙ্গে অভিনয় করেছেন অনিল। নিশ্চয়ই এক নতুন অভিজ্ঞতা। অনিল বলেন, ‘মনেই হয়নি প্রথমবার একসঙ্গে কাজ করলাম। আমরা পারিবারিকভাবে দীর্ঘদিন পরিচিত। আমার মা আর ঋষি কাপুরের (নীতুর শাশুড়ি) মায়ের সম্পর্ক ছিল বোনের মতো। এটা নীতুর কামব্যাক সিনেমা হলেও ও আগের মতো স্নিগ্ধ আছে।’

বয়স দিন দিন কমছে
অনিল কাপুরের বয়স তো দিন দিন কমছে। অনিলের মত, ‘আমি বরাবরই নিজের বয়স ও চেহারা অনুযায়ী চরিত্র নির্বাচন করেছি। বেশভূষা বদল করে বয়স বাড়িয়ে বা কমিয়ে কখনো কাজ করিনি। মেকআপ করে দর্শককে বোকা বানানো যায় না।’

নানা হতে যাচ্ছেন
চলতি বছরই অনিল কাপুরের মেয়ে সোনমের ঘরে নতুন অতিথি পৃথিবীর আলো দেখবে। সময়টা সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বরের মাঝে। অনিলের কথায়, ‘মনের মধ্যে যা চলছে তা বলে বোঝানোর ভাষা নেই।’

সম্পর্কে অটুট
ঘর ভাঙার এই যুগে অনিল-সুনীতা দম্পতি যেন বলিউডে আদর্শ। তবে এর সব কৃতিত্ব সুনীতাকেই দিতে চান অনিল। তাঁর মতে, ‘সুনীতার মতো সঙ্গিনী পেয়েছি বলেই দাম্পত্যজীবন আমি উপভোগ করতে পারছি। যেকোনো সম্পর্কের ভিত্তি হলো দুজনের মধ্যে বোঝাপড়া। সঙ্গীর ভালো জিনিস তুলে ধরে, তার সঙ্গে কাটানো ভালো মুহূর্তগুলো ধরে রাখা উচিত।’