
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নৌ বাহিনীর নাবিকদের জন্য উদ্বোধন হয়েছে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত নৌ ঘাঁটি বানৌজা শের-ই-বাংলা। বুধবার (১২ জুলাই) দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ ঘাঁটির উদ্বোধন করেন।
এ সময় ৪টি পেট্রোল ক্রাফট স্কোয়াড্রন ও ৪টি যুদ্ধ জাহাজ উদ্বোধন করা হয়। খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেড নির্মিত পেট্রোল ক্রাফট স্কোয়াড্রনগুলো হলো শহীদ দৌলত, শহীদ ফরিদ, শহীদ মহিব্বুল্লাহ, শহীদ আখতার উদ্দিন। আর ৪টি ল্যান্ডিং ক্রাফট ইউটিলিটি (এলসিইউ) হলো বানৌজা ডলফিন, তিমি, টুনা ও পেঙ্গুইন। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে এসব জাহাজে আনুষ্ঠানিকভাবে অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু হচ্ছে ।
জানা যায়, ২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী বানৌজা শের-ই-বাংলা ঘাঁটির নামফলক উন্মোচন করেন। নবীন নাবিকদের প্রশিক্ষণের জন্য এ ঘাঁটি নির্মাণ করা হয়েছে। অপারেশন কার্যক্রম পরিচালনার সুবিধার্থে গড়ে তোলা হয়েছে প্রশাসনিক ভবন, অ্যাভিয়েশন সাপোর্ট ও হ্যাঙ্গার সুবিধা সম্বলিত মাল্টিপারপাস শেড, বিভিন্ন রিপেয়ার ও মেইন্টেন্যান্স ওয়ার্কশপ। এছাড়া, ঘাঁটিতে অ্যাভিয়েশন সুবিধা এবং ড্রাইভিং স্যালভেশন এর কমান্ডো পরিচালনা সম্বলিত ইউনিট, নৌ-বাহিনী স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিডেট নির্মিত ৪টি পেট্রোল ক্রাফট নৌ-বহরে অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে দক্ষিণাঞ্চলের সমুদ্র ও উপকূলীয় এলাকার সুরক্ষা আরও সুদৃঢ় হবে। এছাড়া, নবনির্মিত এলসিইউ সমূহ আশ্রয়ণ-৩ প্রকল্পের আওতায় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে চট্টগ্রাম থেকে ভাসানচরে স্থানান্তর ও তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় রসদ সরবরাহসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে নিয়োজিত থাকবে।
পাশাপাশি এলসিইউ সমূহ জাতিসংঘ, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক বর্গকে সকল প্রকার সহায়তাসহ রোহিঙ্গাদের কল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডে ব্যবহৃত হবে। নবনির্মিত এ সব জাহাজ ও ঘাঁটি কমিশনিংয়ের মাধ্যমে এ অঞ্চলে অবৈধ মৎস্য আহরণ রোধ, চোরাচালান দমন, মানবপাচার রোধ, জলদস্যুতা এবং মাদক পাচার রোধসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নিরসনে ভূমিকা রাখবে।