
বাংলাদেশ থেকে ১৫ লাখ শ্রমিক নিতে বুধবার একটি সমঝোতা স্মারকে সই করে মালয়েশিয়া। তার ঠিক একদিন পরই শুক্রবার বাংলাদেশসহ বিদেশি শ্রমিক নেওয়া স্থগিত ঘোষণা করেছে মালয়েশিয়া সরকার। সেই সঙ্গে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরুর ঘোষণা দেয়া হয়।
শুক্রবার সেনাবাহিনীর একটি ক্যাম্পে এক বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা দেশটির উপ প্রধানমন্ত্রী আহমেদ জাহিদ হামিদি বিদেশী শ্রমিক নেয়ার স্থগিতের ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, কত শ্রমিক আমাদের প্রয়োজন সে বিষয়ে সরকার সন্তোষজনক তথ্য না পাওয়া পর্যন্ত বিদেশি কর্মী নেওয়া স্থগিত থাকবে। একই সঙ্গে তিনি তিনি অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযানের ঘোষণা দেন।
মালয়েশিয়া বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানির গুরুত্বপূর্ণ বাজার। বর্তমানে সেখানে প্রায় ছয় লাখ বাংলাদেশি শ্রমিক কাজ করছেন।
দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ২০১৩ সালে জি টু জি পদ্ধতিতে অর্থাৎ শুধু সরকারিভাবে বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি নিতে শুরু করে মালয়েশিয়া। সে চুক্তি অনুযায়ী শ্রমিক নেয়া শুরুও করে দেশটি।
এর পর আবার বন্ধ থাকার পর মালয়েশিয়া সরকার তাদের পাঁচটি থাতে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের সমন্বয়ে ‘জিটুজি প্লাস’ পদ্ধতিতে বাংলাদেশ থেকে ১৫ লাখ কর্মী নিতে রাজি হওয়ার পর বৃহস্পতিবার ঢাকায় দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
এই চুক্তির পর মালয়েশিয়ায় শ্রমিক নিয়োগের দ্বার উন্মোচিত হয়। কিন্তু নতুন ঘোষণায় আবারও মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠানো অনিশ্চিত হয়ে গেল।