
স্থানীয় এক প্রশাসক জানিয়েছেন, ডায়েরিয়া রোগীর সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে। শনিবার পর্যন্ত ১৫০ জনের পেটের অসুখ হয়েছে। কিছু মানুষকে হাসপাতালেও পাঠাতে হয়েছে। বিষাক্ত পানি খেয়ে আরও মানুষ আক্রান্ত হতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণ এখনও হয়নি। কিন্তু ল্যান্ডমাইনের ভয়ে মানুষ দূরে যাচ্ছেন না পানি আনতে।
গণমাধ্যম থেকে জানা গেছে, ডেরনায় ৮৯১টি বাড়ি সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। ৩৯৮টি বাড়ি মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। ঠিক কত মানুষের মৃত্যু হয়েছে, তা-ও স্পষ্ট নয়। জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক কার্যালয় জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত প্রায় এগারো হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। কোনো কোনো সংস্থা এর চেয়েও বেশি মৃত্যুর কথা বলছে। কিছু জায়গায় এখনও পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। ফলে সেখানে উদ্ধার কাজই শুরু করা যায়নি।
২০১১ সাল থেকে যুদ্ধবিধ্বস্ত লিবিয়া। গদ্দাফির মৃত্যুর পর দেশে স্থিতিশীলতা আসেনি। কার্যত গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এরই মধ্যে এই বন্যায় বিপুল ক্ষতি হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে বহু মানুষের।