
এটিএন বাংলা ডেস্ক: জঙ্গিবাদ আর হানাহানির বিরুদ্ধে মানুষকে মাথা তুলে দাঁড়াতে হলে এগিয়ে যেতে হবে নিজস্ব সাংস্কৃতিক স্বকীয়তা দিয়েই।
নবান্ন উৎসবে নাচ, গান আর আবৃত্তির মধ্য দিয়ে এই বার্তাই তুলে ধরা হলো চারুকলার বকুলতলায়। জাতীয় নবান্ন উৎসব উদযাপন পর্ষদ আয়োজিত নবান্ন উৎসবে ছিল বাংলার ধান আর ফসলের ঘ্রাণ।
বাংলায় নবান্ন আসে খুশির বার্তা নিয়ে। গ্রীষ্মের প্রচণ্ডতা, বর্ষার খামখেয়ালীপনা আর কার্তিকের ফসলশূন্যতার পর অগ্রাহায়ন আসে কৃষকের গোলা ভরা ধানের প্রতিশ্রুতি নিয়ে।
নবান্ন তাই নতুন চাল, কৃষাণীর নতুন তাঁতের শাড়ি আর অন্যান্য ফসলের ঘ্রাণ নিয়ে একদম স্বকীয়।বাংলার কৃষকের এই উৎসব শহুরে নাগরিকদের কাছে পরিচয় করিয়ে দিতেই প্রতিবছর এই আয়োজন।
লোকনৃত্য, লোকগান আর আলকাপের মতো বাঙালী সংস্কৃতি উপভোগ করেন দর্শকরা।
বাংলাদেশে আবহমান রাজনৈতিক দলাদলি, নৈতিক অবক্ষয়, সামাজিক দলাদলি, ফ্রান্সে মানুষের মৃত্যুসহ সারাবিশ্বে চলছে যে অশুভ শক্তির উত্থান-তার বিরুদ্ধে এধরনের নিজস্ব সাংস্কৃতিক আয়োজন কেবলই নাচ-গানের অনুষ্ঠান নয়, এটি প্রতিবাদ-জানালেন উৎসবে আসা দর্শক-আয়োজক সকলেই।
নবান্ন কথনে উৎসব উদ্বোধক অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বললেন, এ ধরনের আয়োজন মনে করিয়ে দেয় আমাদের শেকড় কত শক্ত।
শুধু বাঙালি সংস্কৃতি নয়, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সামাজিক আচারও নবান্ন উৎসবে জায়গা করে নেয়। কি এবং কেন এই উৎসব- এর উত্তর আরেকবার পেয়ে যান ইটকাঠের দালানে থাকা নগরের মানুষেরা।