
ফুটবল ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার রেকর্ড গড়েছিলেন আগেই। এবার আরও একটি মাইলফলকের সামনে দাঁড়িয়ে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। প্রথম ফুটবলার হিসেবে ২০০তম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে যাচ্ছেন পর্তুগালের এই মহাতারকা।
২০২৪ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইয়ে মঙ্গলবার আইসল্যান্ডের মুখোমুখি হবে পর্তুগাল। বাংলাদেশ সময় পৌনে ১টায় শুরু হতে যাওয়া ম্যাচটি হতে যাচ্ছে দেশের হয়ে রোনালদোর ২০০তম ম্যাচ।
২০০৩ সালের আগস্টে পর্তুগালের হয়ে অভিষেক হয় রোনালদোর। এখন বয়স ৩৮ হলেও রোনালদো ঠিকই পারফর্ম করে চলেছেন। তবে ২০০তম ম্যাচে নামার আগে রোনালদো বলছেন, দেশের জার্সি গায়ে চাপালেই নার্ভাস হয়ে পড়েন!
আইসল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে রোনালদো বলেন, ‘জাতীয় দলের হয়ে খেলার সময় স্নায়ুর চাপে ভুগি। জাতীয় সংগীত বাজার সময়ও। হয়তো নার্ভাস থাকা ভালো। এটা দায়িত্ববোধ, গর্ব, আত্মবিশ্বাস, দেশের হয়ে খেলার তাগিদ বোঝায়।’
রোনালদোর কথায়, ‘দেশের প্রতিনিধিত্ব করা মানে পরিবার, বন্ধুদেরও প্রতিনিধিত্ব করা। আমি আরও ভালো খেলার স্বপ্ন দেখি। সে কারণেই তো মাঠে নামি।’
দেশের জার্সিতে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ফুটবলে সবচেয়ে গোলের রেকর্ডটাও রোনালদোরই দখলে। এখন পর্যন্ত ১৯৯ ম্যাচে ১২২ গোল তার নামের পাশে। আইসল্যান্ডের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের আরও একটা মাইলফলকের ম্যাচেও তার নজর থাকবে গোলে, ‘আমার ২০০তম ম্যাচে গোল করাটা দর্শনীয় হবে।’
গত বছর কাতার বিশ্বকাপে রোনালদোকে নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়েছে। বিশ্বকাপের আগে ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করতে হয় তাকে। জাতীয় দলের হয়েও বিশ্বকাপ ভালো কাটেনি। সিআর সেভেন দেশের হয়ে আর খেলবেন কি-না সেই সংশয়ও ছিল। তবে নতুন কোচ রবার্তো মার্টিনেজ ভরসা রাখেন অভিজ্ঞ তারকার ওপর।
রোনালদোও মনে করেন দেশের হয়ে এখনও অনেক কিছু দেওয়ার আছে তার, ‘নিজের ফর্ম দেখে বলতে পারি, ভালো খেলছি, সতীর্থদের সহযোগিতা করতে পারছি, গোল করছি। নেতৃত্ব দিয়ে সবসময় মাঠে নিজের উপস্থিতি বোঝাতে পারছি। সতীর্থরা যতদিন আমার ওপর ভরসা রাখবে, আমিও যতদিন প্রেরণা পাব, দেশের হয়ে খেলার চেষ্টা ছাড়ব না। নিজের জায়গাটা ফ্রি-তে দেব না, কাউকে সেটা অর্জন করতে হবে। পর্তুগালের জন্য সর্বস্ব দিতে চাই।’
রোনালদোর ২০০তম ম্যাচ খেলা নিয়ে পর্তুগাল কোচ মার্তিনেজ বলেছেন, ‘একজন খেলোয়াড় ২০০তম ম্যাচ খেলতে যাচ্ছেন, এটা অনন্য। এটা পর্তুগিজ ফুটবলের জন্যই গৌরবের ব্যাপার।’