
নোয়াখালী প্রতিনিধি:
ঘুর্নিঝড় ‘রোয়ানু’র প্রভাবে নোয়াখালীতে রাত থেকে ধমকা হাওয়া ও হালকা ও মাঝারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এখন পর্যন্ত জেলার হাতিয়া, কোম্পানীগঞ্জসহ উপকূলীয় এলাকা সমুহে সী-ট্রাক ও মাছধরা নৌকাসহ সকল প্রকার নৌ চলাচল পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।
এ দিকে ঘুর্ণিঝড়টি আঘাত হানার পূর্বেই মানুষ জনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনার জন্য দ্বীপ উপজেলা হাতিয়া’য় ১৫৬টি, সুবর্নচরে ৯৪টি ও কোম্পানীগঞ্জে ৩০টি স্কুল কাম আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত করে রেখেছে প্রশাসন।
মাইকিং করে সতর্কতা জারি ও প্রশাসনের চেষ্টার ফলেও উপকূলীয় এলাকার মানুষ জন বয়াচরসহ সুবর্ণচরের আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে আশ্রয় নিতে আসেনি।
তবে জেলা প্রশাসক বদরে মুনীর ফেরদৌস বেলা সাড়ে দুপুর ১টার দিকে জানিয়েছেন, হাতিয়া নিঝুম দ্বীপ, কেরিং চরসহ নিন্মাঞ্চলের প্রায় ১০হাজার মানুষজনকে সাইক্লোন শেল্টারে নেয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক আরও জানান, ঘুর্নিঝড় ‘রোয়ানু’ আঘাত হানার মোকালোয় মানুষ জনের নিরাপত্তাসহ সকল প্রকার প্রস্তুতি মূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে এবং এসব এলাকার সকল সরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। রেড ক্রিসেন্টসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের স্বেচ্ছা সেবকদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এদিকে ঘুর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’র প্রভাবে হাতিয়ার চর কিং, চর ঈশ্বর , চর মহি উদ্দিন এ বেড়ীবাধ ভেঙ্গে জোয়ার পানিতে অন্তত ১০ গ্রাম প্রাবিত হয়েছে। এ ছাড়া স্বাভাবিকের ছেয়ে থেকে ৫ফুট উচ্চতায় জোয়ারের পানিতে নিঝুম দ্বীপের কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাতিয়ার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা দেলওয়ার হোসেন।
এ ছাড়া জেলা কালেক্টর ভবনে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে, যা সার্বক্ষনিক উপকূলীয় এলাকায় যোগাযোগ রক্ষা করছে।