
বাংলাদেশের ব্যাটিং ব্যর্থতায় শেষ এশিয়া কাপের স্বপ্ন। এই টুর্নামেন্টে চার ম্যাচেই ছিল ভিন্ন ভিন্ন একাদশ। আগামী ৫ অক্টোবর থেকে শুরুর হবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। বৈশ্বিক এই আসর শুরুর আগে ঘরের মাটিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। এই সিরিজেও পরীক্ষাই-নিরীক্ষা করতে চাচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্ট। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এমনটায় জানিয়েছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
সাকিব বলেন, ‘নিউজিল্যান্ড সিরিজে তিনটি ম্যাচ আছে। সেখানে আমরা কিছু জিনিস দেখব। সবারই সুযোগ আছে খেলার। তবে এশিয়া কাপে যারা খেলেছে, তাদের মধ্যে যারা বিশ্বকাপে নিশ্চিত যাবে, তাদের বিশ্রাম থাকতে হবে বলে আমি মনে করি। প্র্যাকটিস ম্যাচ, ট্রাভেলিং মিলিয়ে অনেক বড় সফর বিশ্বকাপে। কারও ইনজুরি হলে সমস্যা হবে। আমাদের হাতে ভালো বিকল্প নেই। সবার ফিট থাকাটা খুব জরুরি। এবাদত নেই, আমি আশা করব চার পেসারই যেন ফিট থাকে।’
বিশ্বকাপ ব্যাটিং ব্যর্থতা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন সাকিব নিজেও। তিনি আরও বলেন, ‘ব্যাটিং নিয়ে অবশ্যই আমরা চিন্তিত। বেশ কিছুদিন ধরেই আমরা ভালো ব্যাটিং করছি না। সে জায়গাগুলো দেখার এবং চিন্তা করার আছে। বিশ্বকাপের আগে এই টুর্নামেন্ট খুবই কাজে দিয়েছে। রিয়েলিটি চেকটা দরকার ছিল আমাদের।’
সাকিব এটাও মেনে নিয়েছেন বড় টুর্নামেন্ট আসলে দলের উপর চলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা। তিনি বলেন, ‘দ্বিপক্ষীয় সিরিজে আমরা সব সময়ই ভালো খেলি। বলতে পারবেন না এসব সিরিজে আমরা কখনো খারাপ দল ছিলাম। আমাদের বড় পরীক্ষাগুলো হয় এ রকম বড় টুর্নামেন্টগুলোতে, যেখানে আমরা কখনোই আহামরি কিছু করি না। খেয়াল করলে দেখবেন, ২০০৭ বিশ্বকাপে তিনটি ম্যাচ জিতেছি, ২০১১–এর বিশ্বকাপে তিনটি জিতেছি, ২০১৫ বিশ্বকাপে তিনটি জিতেছি, ২০১৯ বিশ্বকাপেও তিনটি ম্যাচই জিতেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ইতিহাস নেই বড় টুর্নামেন্টে ভালো করার। যদিও এশিয়া কাপে দু–তিনবার ফাইনাল খেলেছি, তবে জিতলে আরও ভালো হতো। গত ছয় মাসে আমাদের ব্যাটিং খারাপ হচ্ছে। ধারাবাহিকভাবেই নিচের দিকে যাচ্ছে। এটা নিয়ে কাজ করতে হবে। আসলে অনেকে অনেক কথা বলতে পারে। কিন্তু যখনই রিয়েলিটি চেকটা হয়, তখন কিন্তু আমরা ব্যর্থই হয়েছি। এটা ভালো যে বিশ্বকাপের আগে আগে এই টুর্নামেন্টটা হয়েছে। সবাই অবশ্যই চিন্তা করবে এই সমস্যাগুলো কীভাবে সমাধান করা যায়।’